চট্টগ্রাম : বঙ্গোপসাগরে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ছয়টি অস্ত্র ও সাইত্রিশ রাউন্ড গোলাবারুদসহ দশ জলদস্যুকে আটক করেছে র্যাব। এসময় গতকাল অপহৃত তিন মাঝিমাল্লাকে উদ্ধার করা হয়। আটক জলদস্যুরা তিনটি বাহিনীর সদস্য বলে দাবি করছে র্যাব।
জেলেদের কাছ থেকে মাছ ধরার ট্রলার ডাকাতি ও মাঝিমাল্লা অপহরণের অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার (৫ নভেম্বর) ভোরে কক্সবাজার বঙ্গোপসাগরের গভীরে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন, মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া এলাকার মো.ইউনুছের ছেলে আাব্দুল গফুর (২২), আবুল হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৮), জাফর আহমদের ছেলে মোহাম্মদ তারেক (৩০), জালাল আহমদের ছেলে আবুল হোসেন (২৫), গোলাম হোসেনের ছেলে ছৈয়দুল ইসলাম (৩৫), কুতুবদিয়া উপজেলার কবির আহমদের ছেলে মো. করিম (২৫), ফজল করিমের ছেলে তাহের মিয়া (২৫), মহেশখালী কালারমারছড়া এলাকার নুরুল আলমের ছেলে মো. জুয়েল (২৬), ছব্বির আহমদের ছেলে নুরুল হক (৩২) ও বান্দরবান জেলার মোহাম্মদ আলীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৪৫)।
উদ্ধারকৃত মাঝিমাল্লারা হলেন, মহেশখালী ঘটিভাঙা এলাকার আব্দুল মজিদ, রামুর নুরুল আলম ও সদরের চৌফলদন্ডী এলাকার বাঁচা রাখাইন।
জানা গেছে, গতকাল রাত বারোটার দিকে গভীর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত দুটি মাছ ধরার ট্রলার গুলি করতে করতে তাদের দিকে এগিয়ে আসে। পরে জলসদ্যসুরা তাদেরকে জিম্মি করে ডাকাতি ও নির্যাতন চালায়। সোমবার ভোরে র্যাবের অবস্থান টের পেয়ে জলসদস্যুরা তিন মাঝিমাল্লাকে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে বাকী মাঝিমাল্লাদের উদ্ধার করে র্যাব।
র্যাব সূত্র জানায়, জেলেদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে র্যাব সাগরে অভিযান চালায়। এক পর্যায়ে অপহৃত তিন মাঝিমাল্লাকে উদ্ধার করে র্যাব। এ সময় ১০ জলদস্যুকে আটক করে। পরে জলদস্যুদের কাছ থেকে ৬টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৩৭ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করে।
র্যাব-৭ কক্সবাজার অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান জানান, জেলেদের অভিযোগে র্যাব গভীর বঙ্গোপসাগরে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় অস্ত্র ও ৩৭ রাউন্ড গোলা বারুদসহ দশ জলদস্যুকে আটক করা হয়। এবং উদ্ধার করা হয় অপহৃত তিন মাঝিমাল্লাকে। আটককৃতদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও জিজ্ঞাসাবাদ করার পর কক্সবাজার সদর থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলছে।
একুশে/এসসি