চট্টগ্রাম : সভাটি ছিল মূলত আসন্ন বিজয় দিবস উপলক্ষে সরকারি কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম বিভাগের সকল স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসায় ১ম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত বিজয় ফুল তৈরির কর্মসূচি নিয়ে।
কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এ সভাটি এক পর্যায়ে একুশে পত্রিকার প্রশংসা-সভায় পরিণত হয়। বিশেষ করে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের মুখে ছিল একুশে পত্রিকার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা, জয়গান।
রোববার বিকেলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে বিভাগীয় কমিশনার মো: আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার শংকর রঞ্জন সাহা, স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক দীপক চক্রবর্তী (অতিরিক্ত সচিব), অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) নুরুল আলম নিজামী, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, ফেনী জেলা প্রশাসক মো: ওয়াহিদুজ্জামান, বান্দরবান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা, চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর প্রদীপ চক্রবর্ত্তী, সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসীন কলেজের অধ্যক্ষ অঞ্চল কুমার নন্দী, সরকারি সিটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মঞ্জুর আহমদ, একুশে পত্রিকা সম্পাদক আজাদ তালুকদার, বিভাগীয় উপ পরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা সুলতান মিয়া, জেলা তথ্য অফিসের উপ পরিচালক মো. সাঈদ হাসান, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা নারগীস সুলতানা, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সংগীত প্রশিক্ষক মো. মোস্তফা কামাল, জেলা কালচারাল অফিসার মো. মোসলেম উদ্দিন।
বৈঠকে মতামত তুলে ধরে বক্তৃতা করেন ‘বিজয় ফুল’ কমিটির বিভাগীয় সদস্য সচিব অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নুরুল আলম নিজামী, সদস্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, বান্দরবান জেলা প্রশাসক বান্দরবান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম, হাজী মুহাম্মদ মহসীন কলেজের অধ্যক্ষ অঞ্চল কুমার নন্দী, একুশে পত্রিকা সম্পাদক।
বিকেল ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত চলা অনুষ্ঠানে বিজয় ফুল তৈরি ও প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতা, কবিতা, আবৃত্তি, দেশাত্মবোধক এবং শুদ্ধভাবে জাতীয় সংগীত পরিবেশনসহ প্রস্তুতিমূলক নানা আলোচনার শেষভাগে বিভাগীয় কমিশনার মো: আবদুল মান্নান টেনে আনেন একুশে পত্রিকা প্রসঙ্গ।
তিনি বলেন, এখানে একুশে পত্রিকার সম্পাদক আজাদ তালুকদার উপস্থিত আছেন। আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই। তরুণতম সম্পাদকদের মধ্যে আমি তাকে অন্যতম সম্পাদক বলতে চাই। তার সুসম্পাদিত একুশে পত্রিকা অত্যন্ত নির্ভুল এবং জাতীয় মানের পত্রিকা। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক থাকাবস্থায় আমি পত্রিকাটিতে লেখালেখি শুরু করি। এখনো আমার লেখা পেলেই সম্পাদক তা ছেপে দেন। এ ক্ষেত্রে সম্পাদককে পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়া আছে। পত্রিকাটির রুচিবোধ সত্যিই প্রশংসনীয়। বলেন বিভাগীয় কমিশনার।
এসময় উপস্থিত কয়েকজন বিভাগীয় কমিশনারকে সমর্থন জানান।
প্রসঙ্গত, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস ২০১৮ উপলক্ষে নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা উপলব্ধি এবং সংগ্রামী ইতিহাস জানানোর উদ্দেশ্যে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা) ‘বিজয় ফুল’ তৈরি প্রতিযোগিতা ও ‘বিজয় ফুল উৎসব’ এবং অন্যান্য প্রতিযোগিতা আয়োজনের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারকে আহ্বায়ক, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারকে সদস্য সচিব এবং চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি, চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন সেক্টরের ব্যক্তিবর্গ সমন্বয়ে ৩১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।
রোববার ছিল এই কমিটির প্রথম প্রস্তুতিমূলক সভা। সভায় আগামি ১৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বিভাগীয় পর্যায়ের বিজয় দিবসের সংশ্লিষ্ট ইভেন্টগুলোতে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়।
একুশে/এসসি