ঢাকা : বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করতে ইসিকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।পাশাপাশি ঢাকার কাফরুলের বাসিন্দা মোজাম্মেল হোসেনের আবেদন এক মাসের মধ্যে নিস্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (৩১ অক্টোবর) মোজাম্মেল হোসেনের করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
কিছুদিন আগে বিএনপি বিশেষ কাউন্সিলের মাধ্যমে দলটির গঠনতন্ত্রের সাত ধারা সংশোধন করে। এতে, সাত ধারায় উল্লেখিত রাষ্ট্রপতি কর্তৃক দণ্ডিত, দেউলিয়া, উন্মাদ বলে প্রমাণিত, সমাজে দুর্নীতি পরায়ন বা কুখ্যাত বলে পরিচিত ব্যক্তি দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য পদে কিংবা দলের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী পদের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে-এই কথাগুলো উঠিয়ে দিয়ে ‘প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে দলের একজন চেয়ারম্যান থাকবেন।
৩০ বছরের কম বয়স্ক কোনো ব্যক্তি দলের চেয়ারম্যান হতে পারবেন না’-এই অংশটুকু যোগ করেন। পরবর্তীতে তা ইসিতে পাঠান।
এই সংশোধনী গ্রহণ করতেই মোজাম্মেল নামে কাফরুলের ওই কথিত বিএনপি কর্মী মঙ্গলবার ইসিতে আবেদন জানান। একইসঙ্গে ওই দিনই হাইকোর্টে রিট করে নির্বাচন কমিশনে দাখিলকৃত আবেদনটি নিষ্পত্তির নির্দেশনা চান।
এছাড়া আবেদনটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করতে নির্দেশনা চাইলে আদালত তা মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রাক্তন সদস্য অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আল আমিন সরকার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমী।
পরে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমী বলেন, ‘মোজাম্মেল হোসেন বিএনপি কর্মী সে গতকাল ইসিতে একটি আবেদন দিয়ে বলেছে বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করতে। তিনি বলেছেন এই গঠনতন্ত্র গ্রহণ করা হলে বিএনপিতে দুর্নীতিবাজ, অযোগ্য ব্যক্তিরা নেতা হওয়ার সুযোগ পাবেন। আদালত তার বক্তব্যে সন্তুষ্ট হয়ে রুল ও অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিয়েছেন।’
একুশে/এসসি