একুশে ডেস্ক : খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামুনুর রশীদকে ৮ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ মিজানুর রহমান খান। রায় ঘোষণার সময় মামুনুর রশীদ উপস্থিত না থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) এ রায় ঘোষণা করেন তিনি। কারাদণ্ড ঘোষণা ছাড়াও ৩৮ লাখ ৬৮ হাজার ৪৮৮ টাকার সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশও দেন বিভাগীয় স্পেশাল জজ মিজানুর রহমান খান।
আদালত সুত্র জানায়, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করেন। ২০০৮ সালের ৩ মার্চ দুর্নীতি দমন কমিশন মামুনুর রশিদকে তার নিজের নামে ও পরিবারের নামে থাকা সম্পত্তির হিসাব দাখিলের নির্দেশ দেয়। তিনি নিজের নামে ও পরিবারে নামে ৪১ লাখ ৫৭ হাার ৬১৩ টাকার সম্পত্তির হিসাব প্রদর্শন করেন। কিন্তু দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে তার সম্পদ বিবরণীতে ১১ কোটি ৩ লাখ ৯০ হাজার ৬৭৫ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেন তিনি। এ ঘটনায় ২০০৯ সালের ১৫ এপ্রিল দুদকের সহকারী পরিচালক হেলাল উদ্দিন শরীফ বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি মামলা করেন।
দুদকের পিপি মীর আহম্মেদ আলী সালাম ও দুদকের কোর্ট পরিদর্শক আশিকুর রহমান জানান, দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের দু’টি ধারায় তাকে দোষী সাব্যস্থ করে ৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বিচারক রায়ে দুর্নীতি দমন আইনের ২০০৪ সালের আইনের ২৬ (২) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ২৭(১) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৫ বছরের কারাদণ্ড ও দশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। এবং দুই ধারায় শাস্তি পৃথকভাবে চলবে বলে উল্লেখ করেন।
একুশে/ডেস্ক/এসসি