চট্টগ্রাম : কক্সবাজারের অভিজাত হোটেল কক্সটুডের মালিক কাইয়ুম চৌধুরী। আওয়ামী লীগের কোনো পদে নেই তিনি। নেই সাধারণ সদস্যপদও। কিন্তু শনিবার সকালে তিনি চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করলেন চন্দনাইশ উপজেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে।
সংবাদ সম্মেলনে চন্দনাইশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু আহমেদ জুনুকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে চাঞ্চল্যকর মোজাফফর হত্যামামলায় জড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন হোটেলব্যবসায়ী কাইয়ুম চৌধুরী। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নেরও জবাব তিনি তিনি।
এ নিয়ে শুরু হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে ব্যাপক সমালোচনা। অভিযোগ, উপজেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন করার কিংবা বক্তৃতা দেয়ার তিনি (কাইয়ুম) কে? তিনি তো দলের সাধারণ সদস্যও না। একজন খুনীর পক্ষে তিনি অবস্থান নিয়েছেন বলেও বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাইয়ুম চৌধুরী। রোববার দুপুরে টেলিফোনে একুশে পত্রিকাকে তিনি বলেন, সংবাদ সম্মেলন আমি ডাকিনি। তাছাড়া আমি কোনো বক্তব্যও দেয়নি। এটি উপজেলা আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলন। দলের বিভিন্ন পদের ২২ জন নেতা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আমি স্রেফ একজন পার্টিসিপেন্ট।
উপস্থিত থাকা ২২ জনের মধ্যে আপনার পদপদবী কী- জানতে চাইলে কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, এটা ঠিক, আমি দলের কোনো পদে নেই। তবে আওয়ামী লীগ করি। ভবিষ্যতে এমপি নির্বাচন করব। তাই আমার দলের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ করতে গিয়েছি। একজন কর্মী হিসেবে আমি যেতেই পারি।
চন্দনাইশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘কাইয়ুম চৌধুরী আমাদের দলের কেউ নন। সুতরাং দলীয় ব্যানারে তিনি বক্তৃতা-বিবৃতি দিতে পারেন না। আমি এখন রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আছি। চট্টগ্রাম ফিরেই এ ব্যাপারে সাংগঠনিকভাবে আমাদের করণীয় ঠিক করব। প্রয়োজনে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকের সহযোগিতা চাইব।’
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, ‘কাইয়ুম চৌধুরী দলের কোনো পদে নেই। তিনিই বা কেন চন্দনাইশ উপজেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন করলেন তা আমার বোধগম্য নয়। তিনিই (কাইয়ুম) এ ব্যাপারে ভাল বলতে পারবেন।’
চন্দনাইশ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী একুশে পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমিও শুনেছি। দেখলাম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে এটা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে।’
একুশে/এএইচ/এটি