শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১

৬২ তে পা, জন্মদিনের শুভেচ্ছায় ভাসছেন নগরপিতা

প্রকাশিতঃ ১৪ অক্টোবর ২০১৮ | ১২:৪৫ অপরাহ্ন

চট্টগ্রাম : রোববার ১২টা ১ মিনিটে বাষট্টিতে পা রাখছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।

১৯৫৭ সালের ১৫ অক্টোবর মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের জন্ম। একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন উপলক্ষে বর্তমানে মেয়র চীনে অবস্থান করছেন। এ উপলক্ষে মেয়রের ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে কোনো কর্মসূচি না থাকলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব আছেন মেয়রের রাজনৈতিক সতীর্থ, শুভানুধ্যায়ী থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ। ফেসবুকে মেয়রকে নিরন্তর শুভকামনা জানিয়েছেন তার অনুসারী, শুভানুধ্যায়ীরা।

সবার আগে শনিবার দিনগত রাত দেড়টায় ফেসবুকে মেয়রকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। তিনি মেয়রকে তাঁর রাজনীতির সবচেয়ে বড় সিঁড়ি হিসেবে উল্লেখ করেন।

মেয়র নাছির এবং তার সঙ্গে নিজের পরিবারের ছবি জুড়ে দিয়ে আমিনুল ইসলাম লিখেন, নাছির ভাই যাঁকে নিয়ে আমি অনেক কিছু বলতে পারি, লিখতেও পারি, ফেসবুকে যার স্থান সংকুলান হবে না। আমার কিশোর বয়সে পরিচয়ের পর রাজনীতিতে উপরে উঠার সবচে বড় সিঁড়িটি যিনি আমাকে দিয়েছিলেন মাত্র ১৭ বছর বয়সে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সদস্য বানিয়ে। সম্পর্কটা সেখানেই থেমে থাকেনি তারপর থেকে সব সময় আমাকে আগলে রেখেছেন স্নেহ-ভালবাসায়।

আজ সেই প্রিয় শ্রদ্ধেয় নাছির (চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র) ভাইয়ের শুভ জন্মদিন। তাঁর জন্মদিনে অনিঃশেষ শুভ কামনা ও মহান আল্লাহর দরবারে তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করছি। যোগ করেন আমিন।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রাক্তন সহ সভাপতি ও অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালক শাহজাদা মহিউদ্দিন ফেসবুক স্ট্যাটাসে মেয়র আ জ ম নাছিরকে তার রাজনৈতিক জীবনের সূচনাকারী বলে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, আ. জ. ম. নাছির ভাই, ১৯৮২ সালে বন্ধু আমিনের মাধ্যমে যাঁর স্নেহের পরশমাখা হাতে হাত রেখে ছাত্ররাজনীতির সূচনা করেছিলাম। আজ অবধি স্নেহ মমতায় আগলে রেখেছেন। মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েছেন, তবু কোনো প্রলোভন তাকে জাতির পিতার আদর্শ থেকে সরাতে পারেনি, শুভ জন্মদিন…।

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক, রাউজান পৌরসভার মেয়র দেবাশীষ পালিত ফেসবুকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মেয়রকে অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তিত্ব বলে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, ‘আজ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর নির্বাচিত মেয়র, কষ্টিপাথরে যাচাই করা, ছাত্ররাজনীতির মাধ্যমে তিলে তিলে গড়ে উঠা মুজিব রণাঙ্গনের পরীক্ষিত সৈনিক, ভদ্র, বিনয়ী সদালাপী অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তিত্ব, দেশরত্ন শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ড জননেতা “আ জ ম নাছির উদ্দিন” এর শুভ জন্মদিন। আজকের দিনে প্রিয় নাছির ভাইয়ের প্রতি আমাদের নিরন্তর শুভেচ্ছা, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।’

প্রসঙ্গত, আ জ ম নাছির উদ্দীনের প্রয়াত বাবা সৈয়দ মঈনুদ্দিন হোসাইন ছিলেন একজন শিক্ষানুরাগী এবং মা ফাতেমা জোহরা বেগম। ১৯৭৩ সালে সরকারি মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং পরবর্তীতে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ডিগ্রি পাস করেন মেয়র নাছির।

বিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মকাণ্ডে জড়িত হন। স্কুলশিক্ষার্থী হিসেবে যোগ দেন উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের মিছিলে। আশির দশকের শুরুতে আ জ ম নাছির রাজনীতিতে সক্রিয় হন। ১৯৭৭ সালে তিনি চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি এবং একই সঙ্গে নগর ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে ১৯৮০ এবং ১৯৮২ সালে চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দ্বায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৩ এবং ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত হন। এরপর আ জ ম নাছির নগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন এবং নভেম্বর ২০১৩ সালে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হন।

২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিলের সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সমর্থনে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সহ সভাপতি এবং চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

একুশে/এটি