চট্টগ্রাম : ঘূর্ণিঝড় তিতলীর চট্টগ্রামে আঘাত হানার সম্ভাবনা নেই। এটি ভারতের উড়িশ্যার দিকে আঘাত হানতে পারে। এর কিছুটা প্রভাব বাংলাদেশের সাতক্ষীরা, বরগুনা ও সুন্দরবন এলাকায় পড়তে পারে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম পতেঙ্গা আবহাওয়া দপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. জাকির হোসেন।
বুধবার (১০ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাশেষে সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানান এই আবহাওয়াবিদ।
তিনি জানান, বর্তমানে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত থাকলেও ভয় পাওয়ার তেমন কারণ নেই। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার সময় চট্টগ্রামে ভারি বর্ষণ না হলেও কিছুটা বৃষ্টিপাত হতে পারে। তবে দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলে ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা আছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানিয়ে আবহাওয়াবিদ মো. জাকির হোসেন বলেন, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় তিতলীতে রূপ নিয়েছে। এটি পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে সামান্য অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। তবে ঘূর্ণিঝড় তিতলী কেন্দ্রে বিচ্ছিন্নও বিক্ষিপ্ত অবস্থায় রয়েছে। এটির শক্তি অন্যান্য ঘূর্ণিঝড়ের চেয়ে তাই কিছুটা কম।
এটি আজ (বুধবার) সকাল সাড়ে ৭ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৪৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯০০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮১৫ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮১৫ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কি.মি. যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
একুশে/আরএইচ/এটি
ছবি : আকমাল হোসেন