রায় পড়ে শোনানো হলো সাকা-মুজাহিদকে

2015_11_19_17_15_38_Fkudnp8GB67KOGURaHQBZiMHqN4iIr_originalএকাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদকে তাদের সাজার চূড়ান্ত রায় পড়ে শোনানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ৫০ মিনিটের পর সিনিয়র জেলসুপার জাহাঙ্গীর কবিরের নেতৃত্বে একজন ডেপুটি জেলার ও একজন সহকারী জেলার তাদের রায় পড়ে শোনান।

এর আগে রাত পৌনে ৯টায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সিনিয়র সহকারী জজ আফতাবুজ্জমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল রায়ের অনুলিপি নিয়ে কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছায়। এরপর সেখানে ওই রায় ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করা হয়।

কারা সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার যেকোন এক সময়ে একজন ম্যাজিস্টেট্রের নেতৃত্বে কারা কতৃপক্ষ সাকা ও মুজাহিদের কাছে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা ভিক্ষার বিষয়ে জানতে চাইবেন। সাকা-মুজাহিদের রিভিউ আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় ফাঁসির দণ্ড থেকে বাঁচতে এ দুজনের কাছে এখন রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা ছাড়া আর কোনো পথ নেই। তারা রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার পর যদি ক্ষমা না পান তবে আইন অনুযায়ী সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে যেকোনো সময় দুই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির রায় কার্যকর করতে পারবে কারা কর্তৃপক্ষ।

গতকাল বুধবার সাকা ও মুজাহিদের রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। ওই রায়ের মধ্যে দিয়ে তাদের আইনি লড়াই শেষ হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকেই অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জানান, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের রিভিউয়ের আদেশ বা রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি খুব শিগগিরই প্রকাশ পাবে।

তিনি বলেন, ‘আরেক মামলার আসামি কাদের মোল্লার রিভিউয়ের রায়ে উল্লেখ করা আছে- যখন মৃত্যু পারোয়ানা কারাগারে যাবে রাষ্ট্র তখন থেকেই তারিখ নির্ধারণ করে রায় কার্যকরের উদ্যোগ নিতে পারবে এবং রায় কার্যকর করতে পারবে। যেহেতু সাকা-মুজাহিদের রিভিউ খারিজ হয়েছে, স্থগিতাদেশ আর নেই, সেহেতু রায় কার্যকর করতেও কোনো বাধা নেই।’