‘শেখ হাসিনার জন্ম মুক্তির জন্য, মৃত্যুঞ্জয়ী হওয়ার জন্য’

চট্টগ্রাম : বাংলাদেশের মানুষকে সার্বিক মুক্তি দেয়ার জন্য, মৃত্যুঞ্জয়ী হওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্ম হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের তিন তিনবারের নির্বাচিত কমিশনার, নারীনেত্রী অ্যাডভোকেট রেহানা বেগম রানু।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে চট্টগ্রাম পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ আয়োজিত ‘বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা : বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক এক উন্নয়ন কথামালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় রেহানা বেগম রানু এই কথা বলেন।

৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। কিন্তু মুক্তি এনে দেবার আগেই ঘাতকদের বুলেটে নির্মভাবে তাঁকে প্রাণ দিতে হয়। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্য, বাংলাদেশের মানুষকে মুক্তির স্বাদ এনে দেয়ার জন্য সৃষ্টিকর্তা সেদিন বঙ্গবন্ধুকন্যাকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। আর বেঁচে গিয়েছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের মানুষকে সার্বিক মুক্তি দিতে নিরলস কাজ করছেন। বলেন অ্যাডভোকেট রানু।

নারীনেত্রী রেহানা বেগম রানু বলেন, এদেশের মানুষের মুক্তির শেষ ঠিকানা শেখ হাসিনাকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র এখনো থেমে নেই। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা থেকে শেখ হাসিনা বাঁচার কথা ছিল না। কিন্তু ঐশ্বরিকভাবে তিনি বেঁচে গিয়েছিলেন। রাখে আল্লাহ মারে কে। সৃষ্টিকর্তা জানেন, শেখ হাসিনার মাঝেই এদেশের কল্যাণ, এদেশের মানুষের মুক্তি নিহীত। সেকারণে নানামুখি ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে বারে বারে প্রধানমন্ত্রী বেঁচে যাচ্ছেন, বেঁচে যাবেন। আল্লাহ সহায় থাকলে শেখ হাসিনাকে রোখা সাধ্য কারো নেই। তিনি মৃত্যুঞ্জয়ী। তাঁকে দিয়েই, তার নেতৃত্বেই এদেশ মালয়েশিয়া-সিংগাপুর হতে খুব বেশি দেরি নেই। বলেন অ্যাডভোকেট রানু।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী শক্তিকে ‘জনরায়’ প্রদানের অঙ্গীকারই হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে তাঁর প্রতি জনগণের সবচেয়ে বড় উপহার।

সংগঠনের সভাপতি প্রফেসর একিউএম সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরীর সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সহ-সভাপতি আবু নঈম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ইখতেখার সাইমুল চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ-চট্টগ্রাম সভাপতি ও প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা প্রকৌশলী মোহাম্মদ হারুন, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও জেলা সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস, টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোশিয়েশনের সভাপতি ও প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আলী আব্বাস, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদ, মুক্তিযোদ্ধা ও জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সফর আলী, নারীনেত্রী জেসমিন সুলতানা পারু, প্রাক্তন ওয়ার্ড কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট রেহানা বেগম রানু, ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেক সোলায়মান সেলিম, হাসান মুরাদ বিপ্লব, শৈবাল দাশ সুমন, আবিদা আজাদ, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল কাদের সুজন ও নুরুল আবছার, চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুমন দেবনাথ, অ্যাডভোকেট ওবায়দুর রব কায়েস, চট্টগ্রামমঞ্চ সংগী শিল্পী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল আজম টিপু প্রমুখ।

উপস্থিত ছিলেন নগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রায়হান ইউসুফ, জামাল খান ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদুল আলম, সাবেক ছাত্রনেতা ওয়াহিদুল আলম শিমুল প্রমুখ।