ঢাকা : রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে বুধবার মধ্যরাতে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত আসামী সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খানের মেয়ের জামাই ফুয়াদ জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছ।
তথ্য-প্রযুক্তি আইনের একটি মামলায় পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট তাকে গ্রেপ্তার করে।
এর আগে গত ২৩ আগস্ট ধানমণ্ডি মডেল থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য মোহাম্মদ নাজমুল হাসান পিয়াস মামলাটি করেন। মামলায় জাতির পিতার প্রতি ‘চরম অসম্মান ও মানহানিকর এবং উসকানিমূলক’ বলে অভিযোগ করা হয়।
ফুয়াদ বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকাণ্ড নিয়ে কটূক্তি করে এবং আদালতের রায়ে প্রমাণিত হত্যাকারীদের প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়ে গত ১৫ অগাস্ট ফেইসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন।
পুলিশের বিশেষায়িত এ ইউনিটের অতিরিক্ত উপ কমিশনার নাজমুল ইসলাম বলেন, বুধবার মধ্যরাতে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে ফুয়াদকে তারা গ্রেপ্তার করেন।
তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি এবং তার আত্মস্বীকৃত খুনিদের প্রশংসা করে ফেইসবুকে পোস্ট দেওয়ায় অভিযোগে এক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
আসামি ফুয়াদ জামান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল সুলতান শাহরিয়ার রশিদের মেয়ে শেহনাজ রশিদ খানের স্বামী বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকাণ্ড নিয়ে কটূক্তি করে এবং আদালতের রায়ে প্রমাণিত হত্যাকারীদের প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়ে গত ১৫ অগাস্ট ফেইসবুকে একটি পোস্ট দেন ফুয়াদ।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার চার বছরের মধ্যে ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে একদল সেনা সদস্য। তারপর ইনডেমিনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে বিচারের পথও রুদ্ধ করে দেওয়া হয়।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফেরার পর বিচারের পথ খোলে; মামলার পর বিচার শুরু হলেও বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় যাওয়ার পর ফের শ্লথ হয়ে যায় মামলার গতি।
আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে পুনরায় ক্ষমতায় ফেরার পর মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করে দণ্ডিত সুলতান শাহরিয়ার রশিদসহ পাঁচজনের ফাঁসি ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি কার্যকর হয়।
একুশে/এসএইচ
