জার্মানিতে সন্ত্রাস বিরোধী তৎপরতার অংশ হিসেবে বোরকা নিষিদ্ধ হতে পারে। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ সংক্রান্ত একটি পরিকল্পনায় সমর্থন দেবেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।এই পরিকল্পনায় আরো রয়েছে অপরাধীদের দ্রুত দেশ থেকে বহিষ্কার এবং চিকিৎসক-রোগী গোপনীয়তার শর্ত শিথিলের প্রস্তাব।
জার্মানির কয়েকটি শহরে সম্প্রতি জঙ্গি হামলা বেড়েছে এবং এর বেশ কয়েকটি হামলার সঙ্গে ইসলামপন্থী সন্ত্রাসীদের যোগসাজশের প্রমাণ মিলেছে। এরই প্রেক্ষিতে দেশটিতে নারীদের বোরকা পড়ায় নিষেধাজ্ঞায় আসতে চলেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থমাস ডে মেইজিয়েরে এ সংক্রান্ত আরো কিছু প্রস্তাবনা প্রকাশের কথা রয়েছে।
ইসলামী আইন মোতাবেক বোরকা নারীদের জন্য একটি অবশ্য পরিধেয় পোশাক যা পুরো মাথা এবং সমগ্র শরীর আচ্ছাদিত করে। জার্মানিতে খুব বেশি মানুষ এ ধরণের পোশাক পরিধান করে না। দেশটিতে পোশাক পরিচ্ছদের উপর তেমন কোনো নিষেধাজ্ঞাও নেই। এমনকি ২০১২ সালে সরকারি কমিটির দেয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বোরকা এবং মুখমণ্ডল আড়াল করার পোশাক নিকাব নিষিদ্ধ করা হবে অসাংবিধানিক। তবে কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে, যেমন জার্মানিতে ফুটবল মাঠে গিয়ে মুখমণ্ডল আড়াল করা বা ঢেকে রাখা নিষিদ্ধ। এর আগে ফ্রান্স, বেলজিয়াম এবং ইতালির কিছু শহরে বোরকায় নিষেধাজ্ঞা এসেছে।
এদিকে জার্মানিতে চিকিৎসক-রোগী গোপনীয়তার শর্ত ভঙ্গ করলে চিকিৎসকদের কারা ও অর্থদণ্ড ভোগ করতে হয়। কিন্তু মেইজেয়েরে প্রস্তাবে রয়েছে, কোন রোগীর কর্মকাণ্ডে সন্দেহ হলে চিকিৎসকদের উচিত হবে দ্রুত কর্তৃপক্ষকে জানানো।এই প্রস্তাবে দেশটির বামপন্থী রাজনীতিবিদ ও চিকিৎসকদের পক্ষে অনেক সমালোচনা হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রস্তাবে থাকছে-
>বোরকা নিষিদ্ধ করা।
>জার্মানদের দ্বৈত নাগরিকত্ব ধারণ থেকে বিরত রাখা।
>২০২০ সাল নাগাদ ১৫ হাজার পুলিশ নিয়োগ দেয়া।
>ট্রেন এবং পরিবহণের মূলকেন্দ্রগুলোতে আরো পুলিশ মোতায়েন করা।
>চরমপন্থি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য মসজিদগুলোতে অর্থায়ন করা আরো কঠিন করে তোলা।
>বিদেশী ঘৃণা প্রচারকদের দেশ থেকে বহিষ্কার করা।
>চিকিৎসক-রোগী গোপনীয়তার শর্ত শিথিল করা।