এডিআর কার্যক্রমের অগ্রগতিতে মামলাজট কমছে : জেলা জজ

চট্টগ্রাম: লিগ্যাল এইড এডিআর (বিকল্প পদ্ধতিতে বিরোধ নিষ্পত্তি) কার্যক্রমের ক্রমবর্ধমান অগ্রগতিতে মামলাজট কমে আসছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের নবনিযুক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইল হোসেন।

বুধবার বিকেলে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, চট্টগ্রামের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি, চট্টগ্রামের মাসিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইল হোসেন জানান, লিগ্যাল এইড অফিসের মধ্যস্থতায় বিরোধ মিমাংসা (এডিআর) আইনে সংযুক্তির পর ২০১৪ সাল থেকে এপ্রিল ২০১৮ পর্যন্ত সময়ে চট্টগ্রামে ১ হাজার ৩৮৩টি বিরোধ (প্রি-কেইস) মিমাংসার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ৩৭৭টি বিরোধ সফল নিষ্পত্তি করা হয়েছে। উক্ত সফল বিরোধ মিমাংসার ফলশ্রুতিতে আদালত প্রায় অর্ধ-হাজার মামলা থেকে ভারমুক্ত হয়েছে। একই সাথে এডিআর সুফলভোগীরা অর্থ ও সময় উভয় সাশ্রয়ে কাংখিত আইনি সহায়তা পেতে সক্ষম হয়েছে।

তিনি জানান, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একটি বিরোধ থেকে যৌতুক, দেনমোহর ও ভরণপোষণ, সন্তানের জিম্মাসহ এ ধরনের প্রায় তিন থেকে চারটি মামলার সূত্রপাত হতে পারে আদালতে। লিগ্যাল এইড অফিসের একটি সফল বিরোধ মিমাংসার মাধ্যমে তিন-চারটি মামলা থেকে ভারমুক্ত হয় আদালত। এভাবে আদালতের মামলাজট নিরসন এবং মামলার দীর্ঘসূত্রতা হ্রাসের অন্যতম কার্যকরী ও ফলপ্রসু কার্যক্রম লিগ্যাল এইড অফিসের এডিআর ব্যবস্থা।

জেলা জজ বলেন, দেশের বিচার অঙ্গনে মামলার দীর্ঘসূত্রিতা ও মামলা জট দীর্ঘদিনের। অসহনীয় এই মামলা জট নিরসনে বিচার প্রক্রিয়ায় ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ এবং আনুষ্ঠানিকপূর্ণ কার্যক্রমের বলয় থেকে বের হয়ে আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি করা সম্ভব হলে তা নিঃসন্দেহে দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণকর হবে।

জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার (সিনিয়র সহকারী জজ) ফারহানা ইয়াসমিনের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক রোকসানা পারভীন, মো. মোতাহের আলী, মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ছিদ্দিকী, মোস্তাক আহমেদ, সাবেক জেলা জজ এবং ব্লাস্ট এর পরিচালক এস এম রেজাউল করিম, চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ওসমান গণি, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন নাহার রুমি, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাশহুদুল কবির, মহানগর পিপি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী, চসিক কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, আঞ্জুমান আরা আঞ্জু, বেসরকারি কারা পরিদর্শক মো. আবদুল হান্নান প্রমুখ।