চট্টগ্রাম ঃ উপমহাদেশের অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্যপ্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী রক্ষায় অনন্যা আবাসিক এলাকার পরিকল্পনায় পরিবর্তন এবং বামনশাহী খাল পুনঃখননের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।
বৃহস্পতিবার দুপুরে হালদা নদী দূষণ বন্ধে গঠিত কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে কমিটির সদস্যরা অনন্যা আবাসিক এলাকা ও বামনশাহী খাল পরিদর্শন করেন। তবে এ কমিটি আবারো হালদা নদীসহ এসব স্থান পরিদর্শন করবে বলে জানা যায়।
কমিটির চেয়ারম্যান সিডিএ’র বোর্ড সদস্য জসিম উদ্দিন শাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য সচিব ও সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী রাজিব দাস, হালদা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি ও হালদা রিচার্স ল্যাবরেটরির মুখ্য সমন্বয়ক প্রফেসর ড. মনজুরুল কিবরিয়া, শিকাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু বক্কর ছিদ্দিকি, বুড়িশ্চর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রফিক, ইঞ্জিনিয়ার আবু ইসা আনসারি। তবে কমিটিতে সিটি করপোরেশনের দুই কাউন্সিলরকে রাখা হলেও তারা উপস্থিত ছিলেন না।
হালদা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, ‘হালদা নদী দূষণ বন্ধে সিডিএকে আমরা তিনটি প্রস্তাব দিয়েছিলাম। এসব প্রস্তাব বাস্তবায়নের উদ্যোগ হিসাবে গতকাল অনন্যা আবাসিকসহ আশপাশের এলাকা পরিদর্শন করি। আশা করি এবার অনন্যা আবাসিক কেন্দ্রিক সমস্যা নিরসন হবে।’
কমিটির সদস্য সচিব প্রকৌশলী রাজিব দাস বলেন, ‘আমরা প্রথম বৈঠক করে অনন্যা আবাসিক এবং বামনশাহী খাল পরিদর্শন করি। আমাদের পর্যবেক্ষণ হলো- এই আবাসিকের পরিকল্পনায় কিছু পরিবর্তন এবং বামনশাহী খাল পুনখনন কর। ইতোমধ্যে জলাবদ্ধতা নিরসনের মেগা প্রকল্পের অধীনে খালটি পুনখনন কাজ শুরু হয়েছে। ফলে খালটি আগের অবস্থায় ফিরে আসবে। তাছাড়া হালদা নদী দূষণ বন্ধে অক্সিজেন-বায়েজিদ এলাকার শিল্প বর্জ্য পড়া বন্ধ করতে হবে। শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্থায়ীভাবে ইটিপির ব্যবস্থা করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘হালদা রক্ষায় আমরা স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ- তিন মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য কিছু সুপারিশ করা হবে। এর মধ্যে আশাপাশের খাল দূষণ মুক্ত, অবৈধ দখল উদ্ধার, শিল্প কারাখানায় স্থায়ী ইটিপি নিশ্চিত করা। আগামী সপ্তাহে আবারো আমরা পরিদর্শনে যাব। এরপরই একটা চূড়ান্ত সুপারিশ প্রণয়ন করব।’
প্রসঙ্গত, গত ৫ জুলাই হালদা নদী রক্ষা কমিটি সিডিএ চেয়ারম্যান বরাবরে ‘হালদা নদী দূষণ বন্ধের স্বার্থে অনন্যা আবাসিক এলাকার পরিকল্পনায় পরিবর্তন, এসটিপি স্থাপন এবং বামনশাহী খাল পুনঃখনন’ শীর্ষক একটি চিঠি দেয়। এরপর সিডিএ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে একটি কমিটি গঠন করে। কমিটি প্রথমবারের মত এসব এলাকা পরিদর্শন করে।