চট্টগ্রাম: মৌসমী বায়ুর প্রভাবে টানা বর্ষণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের মানুষের জনজীবন। পানিনিস্কাশন ব্যবস্থার নাজুকতার কারণে মূল সড়ক থেকে গলিপথ পর্যন্ত বৃষ্টির পানিতে থই থই করছে।
বৃষ্টির কারণে সড়কে যানবাহনের সংখ্যাও কমে যাওয়ায় ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েছেন নগরের বাসিন্দারা। আবার অনেক স্থানে জলজটের কারণে গাড়িও চলছে না, কোথাও রিকশা চলাচল করলেও ভাড়া গুণতে হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি। এদিকে ভারি বর্ষণের কারণে নগরে পাহাড়ধসের সর্তকতা জারি করেছে আবহাওয়া অফিস।
মঙ্গলবার ১২ টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৭৯ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস।
রাতভর থেমে থেমে বৃষ্টি হলেও ভোর থেকে টানা ভারি বর্ষণের কারণে সকালে জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া নগরবাসী ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েন। বিশেষ করে সমস্যায় পড়েন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ। সড়কে পানি জমে যাওয়ায় যানবাহনের সংখ্যাও কমে গেছে। গন্তব্যে যেতে হলে গুণতে হচ্ছে কয়েকগুণ ভাড়া।
অন্যদিকে নগরের নিম্নাঞ্চলে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। নগরীর আগ্রাবাদ এক্সেস সড়ক, বড়পোল মোড়, সিডিএ আবাসিক এলাকা, পোর্ট কলোনির কয়েকটি সড়ক, চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা, বহদ্দারহাট মোড়, বহদ্দারবাড়ি সড়ক, হালিশহর, পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
এছাড়া নগরীর জিইসি মোড়, দুই নম্বর গেইট, প্রবর্তক মোড়, মেহেদীবাগ এলাকায় সড়কেও পানি জমে যায়।
পাহাড় ক্ষয়ে বৃষ্টির পানির সঙ্গে নামছে প্রচুর বালু। ভরাট হচ্ছে নালা-খাল, পানি উঠে যাচ্ছে সড়কে। নালায় বালি জমে পানির প্রবাহে বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় জলমগ্ন হয়ে পড়েছে নগরের অধিকাংশ এলাকা।
এদিকে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও দমকা হাওয়াসহ ভারি (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারি (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বর্ষণ হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
অতি বর্ষণের কারণে সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধ্বসের আশঙ্কার কথাও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
একুশে/এডি/এটি
ছবি : আকমাল হোসেন