ব্যস্ততম দুই মাধ্যমে থেকেও নিয়মিত সম্পাদকীয় পড়েন, লাইব্রেরিওয়ার্ক করেন শাহাদাত

চট্টগ্রাম : বাংলাদেশের ফিজিক্যাল মেডিসিনের খ্যাতনামা চিকিৎসক। পাশাপাশি দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র দ্বিতীয় বৃহত্তম ইউনিট চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি। রাজনীতি আর চিকিৎসা-এই দুইয়ের ব্যস্ততা সমানে। তার ওপর অহর্নিশ সাংগঠনিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক দায়বদ্ধতা। বিপুল কাজ, এত ব্যস্ততার মাঝেও ছোটবেলায় গড়ে উঠা পাঠাভ্যাস ছাড়তে পারেননি। প্রতিদিনই কোনো না কোনোভাবে একটা সময় তিনি বের করে নেন। রাজনীতি, চিকিৎসাবিজ্ঞানের পাতা উল্টান। কিছু সময়ের জন্য হারিয়ে যান জ্ঞানের রাজ্যে।

বলছিলাম চট্টগ্রামে বিএনপি রাজনীতির অন্যতম মেধাবী, সজ্জন নেতা ডা. শাহাদাত হোসেনের কথা, যাঁর সকালটা শুরু হয় পঠন-পাঠন দিয়ে। একুশে পত্রিকার পক্ষ থেকে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের পাশাপাশি ঘরোয়া জীবনের খোঁজ নিতে গিয়ে উঠে এসেছে এমন তথ্য।

জানা যায়, প্রতিদিন চিকিৎসাবিজ্ঞানের সর্বশেষ তথ্যের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার চেষ্টা করেন ডা. শাহাদাত। ফজরের নামাজ পড়ে ইন্টারনেট ঢুঁ মারেন। খুঁজে বেড়ান বিশ্ব ফিজিক্যাল মেডিসিনের আপডেট তথ্য, নতুন ভার্সন। কেননা, ডা. শাহাদাতের উপর নির্ভর করে হাজার হাজার মানুষের সুস্থতা, ভালো থাকা। চিকিৎসাকে মানবসেবার মহান ব্রত করা ডা. শাহাদাত তার রোগীদের সর্বোচ্চ, সর্বোত্তম চিকিৎসাসেবা দেয়ার চেষ্টা করেন সবসময়। এজন্য সবার আগে চিকিৎসাবিজ্ঞানের আপেডট তথ্যের সুলুকসন্ধানে তার ব্যত্যয় ঘটে না।

প্রতিদিন সকালে যথারীতি সংবাদপত্রে চোখ বোলান শাহাদাত। জাতীয়-স্থানীয় মিলে অন্তত ১০টা দৈনিক রাখা হয় তাঁর বাসায়। দৈনিকের সম্পাদকীয় পড়ার পুরোনো ঝোঁকটা এখনো আছে তাঁর। সবগুলো সম্ভব না হলেও দিনে অন্তত চারটি জাতীয়-স্থানীয় দৈনিকের সম্পাদকীয় পড়ার চেষ্টা করেন তিনি। দিনভর ডাক্তারিপেশা, একের পর এক দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এ রাজনীতিকের বাসায় ফিরতে ফিরতে রাত কখনো ১০টা, কখনো ১১টা বেজে যায়।

বাসায় ঢোকেও স্বস্তি নেই। সঙ্গে সঙ্গে হুমড়ি খেয়ে পড়েন দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী। কত সমস্যা তাদের! কারো ব্যক্তিগত, কারো আর্থিক, কারো মামলা-হামলা। ধৈর্য ধরে, ঠাণ্ডামাথায় তাদের ফেস করেন, সমাধানের চেষ্টা করেন তিনি। এসব শেষ করে খাবার টেবিলে যেতে যেতে কখনো কখনো রাতের একটা বেজে যায় ডা. শাহাদাতের। এর মাঝেই মা শায়েস্তা খানমের খোঁজ নেন, মমতাময়ী মায়ের সঙ্গে কিছু সময় কাটান।

এই মা-ই তার বড় প্রার্থনা, আরাধনার জায়গা। বাবা প্রয়াত আহমেদুর রহমান ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা। চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজ অধ্যয়নকালে ছাত্রসংসদের বিতর্কবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। এরপর বৃহত্তর চকবাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত হন। সেখান থেকেই দেশকে শত্রুমুক্ত করতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এসময় চকবাজারে তাঁর একটি রেশন দোকান ছিলো। তিনি ছিলেন চট্টগ্রাম রেশন মালিক সমিতির সভাপতি। সে সুবাদে মুক্তিযোদ্ধাদের অকাতরে সাহায্য-সহযোগিতার সুযোগ পেয়েছিলেন বাবা আহমেদুর রহমান। কেবল তাই নয়, চন্দনাইশের গ্রামের বাড়িকে গড়ে তুলেন মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়কেন্দ্র, লঙ্গরখানা। শাহাদাতের দুই চাচাও ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার। এসব কারণে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকহানাদার বাহিনী ডা. শাহাদাতের চন্দনাইশের পৈত্রিক বাড়ি পেট্রোল দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়, মুক্তিযুদ্ধ পরিবারটিকে ধ্বংস করতে দফায় দফায় টার্গেট করে।

বলা চলে, সুস্থ ধারার রাজনীতির পাঠ, প্রগতির শিক্ষা মূলত পরিবার থেকেই পাওয়া ডা. শাহাদাতের। স্ত্রী ফারজানা হোসেন, একমাত্র সন্তান আকশান (১৩) বেশির ভাগ সময় ঢাকার বনানীর বাসায় থাকেন। বনানীর ১১ নং সেক্টরে একটি হেলথ কেয়ার চালান স্ত্রী। ফলে পরিবার নিয়ে তেমন একটা পিছুটান নেই তাঁর।

শুধু কি চিকিৎসাবিজ্ঞান? রাজনীতিবিজ্ঞানও পড়তে হয় তাকে। প্রতিদিন বক্তৃতাবাজি করা লাগে মিছিল-মিটিং, সামাজিক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। থাকা চাই তথ্যগত আপগ্রেড। এজন্য মধ্যরাতেও হোমওয়ার্ক করেন ডা. শাহাদাত। মাঝে মাঝে দেশ-বিদেশের রাজনীতি ও বিশ্বনেতাদের আত্মজীবনী পড়ার চেষ্টা করেন। পড়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে লেখা বিভিন্ন বই। ‘তারেক রহমান ও বাংলাদেশ’, ‘তারেক রহমানের রাজনীতি ও রাষ্ট্রনীতি’ এবং ‘দিপ্তীমান দেশনায়ক’ শিরোনামে তারেক রহমানকে নিয়ে রচিত বইগুলো রাজনৈতিক ব্যক্তিদের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক বলে মনে করেন ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের চিন্তাদর্শন অনুসৃত হলে রাজনীতিবিদদের মাঝে তৈরি হওয়া ক্ষত বা অসুখ থাকবে না। এ অ্যান্টিবায়োটিকে যদি না হয় তাহলে অসুস্থদের রাজনৈতিক মৃত্যু ঘটবে বলে মনে করেন বিএনপির পরিচ্ছন্ন এ নেতা।

রাজনীতিবিদদের সব খবরাখবর রাখতে হয় বলে মনে করেন ডা. শাহাদাত। তিনি বলেন, আমি স্কুলজীবন থেকে গল্পের বই, পত্রপত্রিকা পড়ে আসছি। এখনও বই পড়ি, পত্রিকা পড়ি। একদিন না পড়লে মনে হয় কী যেন ফাঁকি দিলাম।’

বিএনপির প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘গণতান্ত্রিক দেশে রাজনীতিবিদরা মানুষের ভাগ্যনিয়ন্ত্রক, রাষ্ট্রের চালিকাশক্তি। শিক্ষা যেমন জাতির মেরুদণ্ড, তেমনি শিক্ষিত রাজনীতি ও রাজনীতিবিদরা সুশাসন, গণতন্ত্র সর্বোপরি কল্যাণমুখী রাষ্ট্রের ভিত্তিমূল।’

সমাজ থেকে শিক্ষিত রাজনীতিবিদ হারিয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে চলমান রাজনীতির কাছে একগাদা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন ডা. শাহাদাত। তিনি বলেন, আজকাল কয়জন রাজনীতিবিদ লাইব্রেরিতে যান? সংসদের কাজ আইনপ্রণয়ন করা। আইনপ্রণয়নে কয়জন সাংসদ সাহায্য করতে পারছেন? কয়জন রাজনীতিবিদ সংবিধানের প্যারা বা অনুচ্ছেদগুলো জানেন? ‘৭২, ‘৭৫ এর সংবিধানে কী আছে, ত্রয়োদশ, ষোড়শ সংবিধানে কী আছে, তাতে কী পরিবর্তন আনা হয়েছে কয়জন রাজনীতিবিদ জানেন আমাকে বলুন তো!

বলাবাহুল্য, চিকিৎসক-রাজনীতিবিদের পর শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে এবার ‘লেখক’ অভিধা। কারাজীবন নিয়ে তাঁর ২৪০ পৃষ্ঠা বইয়ের স্ক্রিপ্ট লেখা এখন প্রায় শেষপর্যায়ে। বন্দিজীবনের নানা স্মৃতি উঠে আসছে সেই বইতে। প্রতিদিন রাতে একঘণ্টার জন্য হলেও বইটির স্ক্রিপ্ট রাইটিংয়ে সময় দেন তিনি। কারাদিনলিপি লিখতে গিয়ে অম্লমধুর অভিজ্ঞতা তুলে আনেন তিনি। তার জন্য কারাকর্তৃপক্ষের ভিআইপি আতিথেয়তা যেমন আছে বইটিতে, তেমনি আছে কারাসংস্কারের কথা।

শাহাদাত বলেন, আইনীসহায়তার অভাবে চট্টগ্রাম কারাগারে আটক আছে অসংখ্য নারী-শিশু, বয়স্ক লোক। বছরের পর বছর অমানবিকভাবে আটকে থাকা এই মানুষগুলো সুযোগ পেলে আমার কাছে ছুটে আসতো। তাদের আকুতি শোনাতো। আমি কারাকর্তৃপক্ষকে বারবার তাদের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছি। জেলবিধি অনুযায়ী কারাকর্তৃপক্ষ তাঁর থাকার জন্য সুপরিসর কক্ষ, একজন বাবুর্চি, দুইজন সেবকের পাশাপাশি টিভি-পত্রিকার ব্যবস্থা করেছে। জেলকোড অনুযায়ী প্রাপ্য এ সুবিধা প্রদানে আন্তরিক থাকায় জেল কর্তৃপক্ষ, বেসরকারি কারাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান ডা. শাহাদাত।

শাহাদাত বলেন, কারাগারে গিয়ে দেখলাম আমার দলের হাজার হাজার লোক বিনাবিচারে, বিনাঅপরাধে বন্দীজীবন কাটাচ্ছে। তারা আমাকে কাছে পেয়ে উদ্বেলিত হয়। কারাগারে আমি ছিলাম তাদের ছায়া, বড়ভাই, অভিভাবক। শুধু দলের লোক নয়, সাধ্য অনুযায়ী সব মতের মানুষকে নানাভাবে কমফোর্ট দেয়ার চেষ্টা করেছি। আমার চলে আসার সময় তাদের অনেকের চোখে পানি দেখেছি। তারা আমার স্বজন, তাদের আমি মিস করি।-বলেন ডা. শাহাদাত।

চট্টগ্রাম কারাগারে ৭ হাজার বন্দির মধ্যে ৫ হাজার বন্দি ইয়াবা মামলার আসামি এই তথ্য দিয়ে ডা. শাহাদাত হোসেন ‘কারাগার থেকে বলছি’ গ্রন্থে লিখছেন-এ পরিস্থিতিতে আমি বিস্মিত, হতবাক। সরকারি দলের লোকজনের ছত্রছায়ায় ইয়াবা আজ দেশটাকে খেয়ে ফেললো। একসাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ আজ একসাগর ইয়াবায় ভাসছে জানিযে উদ্বেগ প্রকাশ করে ডা. শাহাদাত ইয়াবাবিরোধী অভিযানের নামে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, সরকার এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশের ইয়াবার মূল গডফাদার এমপি বদির টিকিটি স্পর্শ করতে পারেনি। সারাদেশের মানুষের আকুতি-ইয়াবার এ মূল হোতাকে ধরা হোক, ক্রসফায়ার দেয়া হোক। তবেই ইয়াবামুক্ত বাংলাদেশ গঠনের দ্বার উন্মোচিত হবে। কিন্তু এ আকুতি সরকারের কর্ণকুহরে প্রবেশ করছে না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিদিন এমপি বদির পক্ষে সাফাই গাইছেন। বলছেন বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, প্রমাণ নেই।

তাদের আমি প্রশ্ন করি, আজ (৩১ মে) পর্যন্ত ১৪৪ জনকে ক্রসফায়ার দিলেন। সেখানে কয়জনের অপরাধ প্রমাণ পেয়েছেন? ডা. শাহাদাত বলেন, ১৪৪ জনের মধ্যে ১০০ জন যদি টেকনাফ-কক্সবাজার বেল্ট থেকে হতো তাহলে সারাদেশের মানুষ খুশি হতো। সরকার ইয়াবা কারখানার মূল মালিক কিংবা উৎপাদনকারীদের না মেরে বিপণনকারীদের মারছে, চুনোপুটিদের হত্যা করছে অভিযোগ তুলে এটি একধরনের তামাশা এবং নির্বাচনপূর্ব ভীতিকর পরিবেশ তৈরির চেষ্টা ছাড়া কিছু নয় বলে মনে করেন বিএনপির এ নেতা।

দুই মাসের কারাজীবনে আঁতকে উঠার মতো একটি ঘটনা বা তথ্যের মুখোমুখি হতে হয় ডা. শাহাদাত হোসেনকে। সেই ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি একুশে পত্রিকাকে বলেন, বাঁশখালিতে বিএনপি নেতাকর্মীবিরোধী অভিযানে অনেকের সঙ্গে আটক হন বিএনপি সমর্থিত নুরুল আলম। নির্দোষ, নিরাপরাধ অসুস্থ বাবাকে ছাড়িয়ে আনতে তার অনার্স-মাস্টার্স পড়ুয়া তিন মেয়ে চাম্বল ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের শরণাপন্ন হন। অনুরোধ করেন থানার ওসিকে বলে তার বাবাকে ছাড়িয়ে নিতে। তরুণ চেয়ারম্যান মেয়েদের প্রস্তাব দিলেন অনৈতিক সম্পর্কের। তবেই তাদের বাবাকে ছাড়ানোর সব ব্যবস্থা করবেন। পরে মেয়েদের মুখে চেয়ারম্যানের কুপ্রস্তাবের কথা শুনে থানাহাজতেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন বাবা নুরুল ইসলাম। মেয়েদের আকুতি এবং অসুস্থতা- এ পরিস্থিতিতেই পুলিশ তাকে আদালতে পাঠায়।

কারাগারে নুরুল আলমের মুখে এই কথা শুনে কেঁদে ফেলেন ডা. শাহাদাত। নুরুল আলমের বরাতে সেই পৈশাচিকতার বর্ণনা দিয়ে ডা. শাহাদাত হোসেন অভিযোগ করেন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে রাজাকাররা যেভাবে মুক্তিকামী পরিবারের মেয়েদের ধর্ষণ করেছে বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতাদের অনেকেই এখন সেই ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।

সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে, মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল বিচার বিভাগের উপর নগ্ন হস্তক্ষেপ চালিয়ে বার বার খালেদা জিয়ার জামিন আটকে দিচ্ছে অভিযোগ করে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে কোনো নির্বাচন বাংলাদেশের মানুষ হতে দেবে না।’

বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে নোংরা রাজনীতি করে আ.লীগ বোকামি করছে, চরম ভুল করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া-তারেক রহমানের মধ্যে কিন্তু জিয়া পরিবার আর সীমাবদ্ধ নেই। ৫৬ হাজার বর্গমাইলে জিয়াপরিবার বিস্তৃত। বাংলাদেশ জুড়ে গড়ে উঠা জিয়া পরিবারের সদস্যরাই গণতন্ত্রের নেত্রীকে মুক্ত করবে, দেশে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করবেই।

ছবি : আকমাল হোসেন

একুশে/এটি