চবি প্রতিনিধি : জঙ্গিসংশ্লিষ্টতায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম প্রথমেই রয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির জঙ্গিবাদবিরোধী মানববন্ধনে অংশ নিয়ে তিনি এই কথা জানান। তিনি বলেন, জঙ্গিসম্পৃক্ততায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এগিয়ে থাকার বিষয়টি আমাদের জন্য লজ্জাজনক ব্যাপার। জঙ্গিবাদের ভয়াল থাবা থেকে নিজেকে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি অন্যদের মাঝেও সচেতনতা সৃষ্টি করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ব হবার আহ্বান জানান চবি উপাচার্য।
বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. এ এফ এম আওরঙ্গজেব। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ড. সুকান্ত ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ- উপাচার্য ড. শিরিন আকতার বলেন, ’জঙ্গীবাদ সমস্যা দেশীয় নয়, এটি এখন বৈশ্বিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই আমাদের হতাশ না হয়ে এর বিরুদ্বে ঐক্যবদ্ব হয়ে রুখে দাড়াতে হবে।
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. কামরুল হুদা বলেন, ‘গুলশান সহ সাম্প্রতিক বিভিন্ন হামলা কখনো একজন প্রকৃত মুসলমান করতে পারে না, ইসলাম এরকম কর্মকাণ্ড কখনো অনুমোদন দেয় না।’
আইন অনুষদের ডীন ড. আবদুল্লাহ ফারুক বলেন, মানবিক মূল্যবোধের চেতনায় জঙ্গীবাদ, উগ্রবাদ কথনো স্থান পেতে পারে না। তাই আমাদের উচিত হবে ক্লাসে ক্লাসে, প্রতিটি ক্ষেত্রে জঙ্গবাদের বিরুদ্বে সচেতনতা সৃষ্টি করা।’
চবি প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী বলেন, ‘জঙ্গিদের একম সন্ত্রাসী কার্যক্রম কখনো কোনো ধর্ম সমর্থন করে না। তাই সকলের ঐক্যবদ্ধ চেষ্টায় এ সমস্যা মোকাবেলা করতে হবে।’
কলা মানববিদ্যা অনুষদের ডীন ড. সেকান্দর চৌধুরী বলেন, ‘হাজার বছরের বাঙলির অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে যারা জঙ্গীবাদের মাধ্যমে ধ্বংস করতে চায় তাদেরকে ধর্মীয় মূল্যবোধের চেতনা ধারণ করে এর মোকাবেলা করতে হবে।’
সমাপনী বক্তব্যে শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. এ এফ এম আওরঙ্গজেব বলেন, সময় এসেছে যার যার স্থান থেকে জঙ্গিবাদ মোকাবেলা করার। জঙ্গিদের যথাযোগ্য শাস্তি কার্যকরের জন্য সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় আইনের সংস্কারেরও দাবি জানান তিনি।
মানববন্ধনে অন্যান্যের মাঝে আইন বিভাগের শিক্ষক আবু নোমান, পালি বিভাগের প্রফেসর ড. জিনব্যোধি ভিক্ষু বক্তৃতা করেন।