চট্টগ্রামে অস্ত্রোপচারের পর সুচ বের না করার মামলায় দুই চিকিৎসকের বিচার চলবে

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে অস্ত্রোপচারের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের শরীর থেকে সুচ বের না করার অভিযোগে করা মামলায় দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করতে নিম্ন আদালতকে নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। বিচারপতি এ কে এম আব্দুল হাকিম ও এস এম মজিবুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেয়।

ওই দুই চিকিৎসক হলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাপরোস্কোপিক জেনারেল সার্জন মো. সুরমান আলী এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও সার্জন জি এম জাকির হোসেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল গৌতম কুমার রায় একুশে পত্রিকাকে বলেন, দুই চিকিৎসককে মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছিল নিম্ন আদালত। এই আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন মামলা হলে সেটিও জজ কোর্টে খারিজ হয়ে যায়। ওই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করা হয়। উক্ত রিট আবেদন নিষ্পত্তি করে সোমবার উচ্চ আদালতের দুই বিচারপতির যৌথ বেঞ্চ আদেশ দেয়।

তিনি বলেন, আদেশে নিম্ন আদালতের দুই আদেশ বাতিল করার পাশাপাশি দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করতে নিম্ন আদালতকে নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যেসব ধারায় অভিযোগ করা হয়েছিল সেসব ধারায় জজ কোর্টে বিচার কাজ শুরু করতে এখন আর বাধা নেই।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১২ সালের ৩০ মে বেসরকারি এশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আমিনুল ইসলামের মলদ্বারে অস্ত্রোপচারের পর সুচ ভেতরে রেখে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ওই দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। একই বছরের ৩০ জুন ভারতের একটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে সেই সুচ বের করা হয়। এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারি আমিনুল ইসলামের মা দেলোয়ারা বেগম আদালতে মামলা করেন। তদন্ত শেষে পাঁচলাইশ থানার পুলিশ দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে একই বছরের ৩০ মে।

২০১৪ সালের ২৭ আগস্ট চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষে দুই চিকিৎসককে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে দেলোয়ারা বেগম চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে রিভিশন মামলা করেন। আদালতের আদেশটি পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন তিনি। এরপর ২০১৬ সালের ৮ মে দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে করা রিভিশন মামলা খারিজ করে দেন তৎকালীন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. শাহেনূর।

একুশে/এসআর