চট্টগ্রাম : বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন ও লাশ গুমের দায়ে দুজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত। একই আদেশে দু’জনকে বেখসুর খালাসও দেয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফেরদৌস আরার আদালত এ আদেশ দেন।
দণ্ডিত আসামিরা হলেন, আলী আজম (২৫) ও মোহাম্মদ আলম (২২)। এদের মধ্যে আজম পলাতক হলেও রায় ঘোষণার সময় আলম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্যদিকে অভিযাগ প্রমাণিত না হওয়ায় নাইমুল ইসলাম রাকিব (২২) ও মোহাম্মদ নাছির (২৬) নামে দু জনকে বেখসুর খালাস দেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডেভোকেট দেলোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালাত সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর হাটহাজারীর জোবরা গ্রামে সিএনজি চালক আকতার হোসেনকে দণ্ডিতরা কৌশলে একটি মৎস প্রকল্পে ডেকে এনে খুন করেন । একই সময়ে ওই দিন আকতারের সিএনজি অটোরিকশা বিক্রির ২ লাখ ৯০ হাজার টাকাও আত্মসাৎ করে আকতারের লাশও ঘুম করে ফেলেন। ঘটনার পর নিহতের ভাই বাদি হয়ে হাটহাজারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করে।
পরে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা হত্যার দায় স্বীকার করে ঘুম করা লাশের সন্ধান দেন। ২০১২ সালের ৩ অক্টোবর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার একটি মৎস প্রকল্প থেকে আকতারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ২০১৩ সালের ১৫ জুলাই আদালতে মামলার অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। ২০১৪ সালের ৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে বিচার কাজ শুরু হয়ে ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ সোমবার এ রায় প্রদান করেন আদালত।
একুশে/এডি