রবিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১

পাকিস্তান থেকে জঙ্গি আসছে

| প্রকাশিতঃ ১২ নভেম্বর ২০১৫ | ৫:০১ অপরাহ্ন

:: স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ::

শাহরিয়ার কবিরনাশকতা ও সন্ত্রাস চালাবার জন্য  পাকিস্তান থেকে উগ্র সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জঙ্গিরা বাংলাদেশে আসছে বলে জানিয়েছেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লেখক-সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির।

তিনি বলেছেন, ‘দুই প্রধান যুদ্ধাপরাধী বিএনপির সাকা চৌধুরী ও জামায়াতের মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড বিলম্বিত ও বানচাল করার জন্য জামায়াত-বিএনপি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বহুমাত্রিক যুদ্ধ করছে। তারা গেরিলা কায়দায় চোরাগোপ্তা আক্রমণ করে একের এক পুলিশ হত্যা করছে। সামরিক বাহিনীর সদস্য তাদের হামলার শিকার হচ্ছেন।’

তিনি বলেন, ‘ধারাবাহিকভাবে হত্যা করা হচ্ছে মুক্তচিন্তার লেখক, প্রকাশক ও ব্লগারদের। যারা অনলাইনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে সর্বদা সোচ্চার রয়েছেন। জামায়াত-বিএনপির বাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে মদদ দিচ্ছে পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। পাকিস্তান থেকে উগ্র সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জঙ্গিরা বাংলাদেশে আসছে নাশকতা ও সন্ত্রাস চালাবার জন্য।’

বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট সংলগ্ন স্টুডিও থিয়েটার মিলনায়তনে ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং চলমান সন্ত্রাস : সরকার ও নাগরিক সমাজের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে শাহরিয়ার কবির এসব কথা বলেন।

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি চট্টগ্রাম শাখা আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের জেলা আহ্বায়ক এ্যাডভোকেট সীমান্ত তালুকদার।

আলোচনায় অংশ নিয়ে শাহরিয়ার কবির আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করার জন্য সাকা চৌধুরী পাকিস্তান থেকে সাফাই সাক্ষী হিসেবে যাদের আনতে চেয়েছেন তারা আইএসআইয়ের লোক। বাংলাদেশে আইএসআই-এর প্রধান এজেন্ট সাকা চৌধুরীকে বাঁচাবার জন্য তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে। সরকারকে ব্যক্তির পাশাপাশি সংগঠন হিসেবে জামায়াত এবং পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অবিলম্বে আরম্ভ করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা ও সমাজবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. অনুপম সেন। প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল। সূচনা বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়ক শওকত বাঙালি।

আলোচনায় অংশ নেন পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ চট্টগ্রাম সভাপতি ডা. এ কিউ এম সিরাজুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম জেলা কমান্ডার মো. সাহাবুদ্দীন, নারীনেত্রী নূরজাহান খান, শিক্ষাবিদ প্রফেসর হাসিনা জাকারিয়া বেলা ইসলাম, যুদ্ধাপরাধী সাকার মামলার অন্যতম সাক্ষী মোরশেদ আনোয়ার।

প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেন, ‘‘১৯৭৩ সালে জুলাইয়ে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ১৯৭১-এর গণহত্যাকারী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য বঙ্গবন্ধুর সরকার সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর মাধ্যমে ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইবুনালস) আইন’’ প্রণয়ন করেছিলেন- যে আইন অনুযায়ী প্রায় চার দশক পর বাংলাদেশে ১৯৭১-এর ঘাতক দালালদের বিচার আরম্ভ হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়া ১৯৭২-এর সংবিধান পরিবর্তন করে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের মতো মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বানাবার জন্য ধর্মের নামে রাজনীতি চালু করেছেন, যার মাশুল এখনও জাতিকে দিতে হচ্ছে।’