তুরস্কে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর আটক হওয়া ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের কেউ কেউ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
ডয়েচেভেলে জানায়, আইনজীবী, চিকিৎসক ও বন্দিশিবিরে দায়িত্ব পালন করা এক কর্মীর সঙ্গে সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে অ্যামনেস্টি। এতে দেখা যায়, আটককৃতদের হয়ে কাজ করছেন এমন দুই আইনজীবী অ্যামনেস্টিকে জানিয়েছেন, পুলিশ সদস্যরা ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের ধর্ষণ করছেন। গত কয়েকদিনে এমন দৃশ্য তাঁরা অনেক দেখেছেন।
আটককৃতদের অনেককে ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত খাবার, পানি ও চিকিৎসা সুবিধা দেওয়া থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থাটি।
এদিকে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর তুরস্কে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। এর আওতায় শনিবার সরকারের এক ডিক্রিতে আটককৃতদের বিনা অভিযোগে আটকে রাখার সময়সীমা চারদিন থেকে বাড়িয়ে ৩০ দিন করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম দি ইনডিপেনডেন্ট জানায়, তুরস্কে ইতিমধ্যে প্রায় ১৩ হাজার সেনা সদস্য, পুলিশ, বিচার বিভাগের কর্মকর্তা এবং সাধারণ জনগণকে আটক করা হয়েছে। সোমবার ৪২ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তাঁদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এঁদের মধ্যে আছেন নাজলি ইলিচাক। ২০১৩ সালে দুর্নীতি কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ থাকা মন্ত্রীদের সমালোচনা করায় সরকারপন্থী একটি পত্রিকা থেকে তাঁকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছিল।