‘জাতীয় নির্বাচন দিন’

emaj uddinস্টাফ করেসপন্ডেন্ট

চলমান সংকট নিরসনে স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে বাড়াবাড়ি না করে, জাতীয় নির্বাচন দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ।

জাতীয় প্রেস ক্লাব কনফারেন্স লাউঞ্জে এক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।

‘ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে এ আলোচনার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল।

এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে বলব, স্থানীয় নির্বাচন, এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করার কোনো প্রয়োজন নেই। জাতীয় পর্যায়ের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। যারা ভোটগ্রহণ করবে তারা যাতে সুষ্ঠু সঠিকভাবে নিতে পারে। যারা ভোট দেওয়ার বা নেওয়ার তারা যেন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ভাবে প্রচারণা চালাতে পারে।’

‘এটা না হলে যে সংশয় গোটা জাতিকে গ্রাস করেছে, বুদ্ধিজীবীরাও খনিকটা নিরাপত্তার অভাব অনুভব করছে। অনেকেই সরকারের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছেন। ব্যক্তিগতভাবে সরকার নিরপত্তা কতজনকে দেবে। ব্যক্তিগতভাবে নিরাপত্তা নেওয়ার দরকার নেই। নিবার্চন হোক, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হউক,’ যোগ করেন তিনি।

এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘আজকে দুঃসহ দিন যাপন করছি আমরা। আতঙ্ক দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে অনিশ্চয়তা।’

তিনি বলেন, ‘অর্থনীতির অগ্রগতির জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। রাজনীতিক স্থিতিশীলতা যতদিন না অর্জিত হয়েছে ততদিন অর্থনীতির অগ্রগতি হয়নি, হবে, বিশ্বেও কোথায় হয়নি।’

আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান বলেন, ‘স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে একজন ব্যক্তি আছেন বেগম খালেদা জিয়া। তার নেতৃত্বে সারা বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ আছে, যেকোনো সময় সরকারকে টেনে নামিয়ে ফেলতে পারবে।’

খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশে অবস্থান করছেন উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘আগামী দিনে খালেদা জিয়া কর্মসূচি দিবেন, সকলকে রাজপথে থেকে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আজকে শহীদ জিয়ার মাজার সরিয়ে ফেলার চক্রান্ত হচ্ছে। যদি তারা এখন জিয়ার মাজার সরাতে চান দেশের মানুষ তা সহ্য করবে না।’

৭ নভেম্বরের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘৭ নভেম্বর সিপাহী জনতা গর্জে উঠে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে ক্ষমতায় আসীন করেছিল।’

মহিলা দলের সভাপতি নূরে আরা সাফার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরীন সুলতানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিনসহ সংগঠনের নেতারা।