ফের বিক্ষোভ ডেকেছে বিএনপি

BNP-logoঢাকা: অর্থপাচার মামলায় দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়ার প্রতিবাদে ফের বিক্ষোভ ডেকেছে বিএনপি।

ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আগামী বুধবার ঢাকা মহানগরীসহ দেশের সব মহানগরের থানায় থানায় এবং সব জেলার উপজেলা সদরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ মিছিল করবে দলটি।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

একই ঘটনার প্রতিবাদে গত শনিবারও দেশের প্রতিটি জেলায় বিক্ষোভ করে বিএনপি। ওইদিন ঢাকাতেও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের কথা থাকলেও তা পরদিন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ শাসকগোষ্ঠীর নির্দয় শাসনে দেশে অজানা মৃত্যুসঙ্কুল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দেশবাসীর মনে এক ভয় আর শঙ্কা বিরাজ করছে। এমন পরিস্থিতিতে তারেক রহমান মিথ্যা মামলায় খালাস পাওয়ার পরেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে সাজা প্রদানের রায়ের পরে দেশব্যাপী বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কর্মসূচিতে লাখ লাখ মানুষের গগনবিদারী প্রতিবাদী আওয়াজ ধ্বনিত হচ্ছে। সরকারের কোনো চক্রান্তই জাতীয়তাবাদী শক্তির মাথা নোয়াতে পারবে না।’

তিনি বলেন, ‘ভোটারবিহীন সরকারের অনাচার, মিথ্যাচার, কদাচার, অবিচার ও স্বেচ্ছারের বিরুদ্ধে মানুষের দ্রোহ এখন আগ্নেয়গিরির মতো ফুঁসে উঠছে। আমরা এই দেশে গণতন্ত্রকে বিপন্ন ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে দুর্বল হতে দেব না। দেশে অশুভ শক্তিকে রুখে দাঁড়ানোর জন্য আমরা হারানো গণতন্ত্রের পক্ষেও কথা বলবো। এছাড়া দেশের অভ্যন্তরে মানবতা-সভ্যতা-সংস্কৃতি বিরোধী অশুভ শক্তিকে নির্মূল করতে জাতীয় ঐক্যের পক্ষে আহবান জানিয়ে যাবো। আমরা এদেশকে জনহীন, শব্দহীন, লোকালয়হীন গোরস্থানে পরিণত হতে দিতে পারি না’।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার ভংঙ্কর চক্রান্তজালে দেশকে আটকে রাখতে চাচ্ছে। নতুন নতুন কুটচাল দিয়ে অবৈধ ক্ষমতাকে ধরে রেখেছে। দেশ থেকে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করার নীল নক্শা অনুযায়ী একের পর এক ফাঁদ তৈরি করতে জ্ঞাত অজ্ঞাত বিভীষিকা নামিয়ে আনা হয়েছে দেশব্যাপী।’

তিনি বলেন, বিএনপিকে ধ্বংস করতে সরকার খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানকে বিভিন্নভাবে পর্যদুস্ত করতে বিরতিহীনভাবে প্রতিহিংসার ছোবল দিয়ে যাচ্ছে। আর এই প্রতিহিংসার বিষ প্রবাহিত হয়ে গোটা জাতিকেই বেদনায় নীল করে দিয়েছে।

রিজভী বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতির দৃশ্যপট থেকে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে সরানোর মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সরকার এগিয়ে চলেছে। এজন্যই দেশব্যাপী নানা ধরনের নি:শ্বাসরোধকারী, জীবনসংহারী সহিংস রক্তপাতের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। গুম আর বন্দুকযুদ্ধের নামে মানুষ হত্যার ভয়ংকর প্রবণতাকে টিকিয়ে রাখার পরেও দেশে ভয়াবহ সন্ত্রাসের নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে উগ্রবাদী জঙ্গীগোষ্ঠীর রক্তঝরা তাণ্ডবে।’

রিজভী আহমেদ বলেন, ‘রক্তক্ষরণের অরাজকতা সামাল দিতে না পেরে সরকার দিশেহার হয়ে আরও বেশি প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে উঠেছে। আর প্রতিহিংসা মেটাতে গিয়ে বিএনপিসহ দেশের গণতান্ত্রিক শক্তির ওপর হামলে পড়ছে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন ও সাবেক এমপি শাম্মী আখতার প্রমুখ।