ঢাকা: টিআর ও কাবিখা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের দায়ে জাতীয় সংসদেও তোপের মুখে পড়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু। তার এই বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান সংসদ সদস্যরা। পরে মন্ত্রী আবারও সংসদে ক্ষমা প্রার্থনা করে তার বক্তব্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
এর আগে আজ দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকেও তথ্যমন্ত্রী মন্ত্রীদের তোপের মুখে পড়েন। সেখানেও তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা চান।
সন্ধ্যায় সংসদ অধিবেশন শুরু হলে সেখানেও ইনুর তীব্র সমালোচনায় মেতে উঠেন সংসদ সদস্যরা। সরকারি দলের সদস্য আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশিদ ও স্বতন্ত্র সদস্য ডা. রোস্তম আলী ফরাজী পয়েন্ট অব অর্ডারে বিষয়টি উত্থাপন করেন। পরে ফ্লোর নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিজে একজন সংসদ সদস্য হিসেবে সংসদ সদস্যবৃন্দসহ জনপ্রতিনিধিদের আন্তরিকভাবে সম্মান করি। তারপরও কেউ যদি আমার বক্তব্যে অনভিপ্রেতভাবে দুঃখ পেয়ে থাকেন, সেজন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
রবিবার রাজধানীতে এক আলোচনায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তো এমপি আমি জানি, টিআর কীভাবে চুরি হয়। সরকার ৩০০ টন দেয়। এর মধ্যে এমপি সাহেব আগে দেড়শ টন চুরি করে নেয়। তারপর অন্যরা ভাগ করে। সব এমপি করে না। তবে এমপিরা করেন।’
তবে রাতে মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন ইনু। বলেন, ‘টেস্ট রিলিফ ও কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচিতে অতীতে সরকারের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি অবসানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টার বিষয়টি তুলে ধরতে গিয়ে আমি ক্ষেত্রবিশেষে ঘটা ঘটনার উদাহরণ হিসেবে দুর্নীতির কথা উল্লেখ করেছি, ঢালাওভাবে কাউকে লক্ষ্য করে বলিনি।’