ইউনুস মিয়া, ফটিকছড়ি : হালদা নদীতে অবাধে ফেলা হচ্ছে ফটিকছড়ির নাজিরহাট পৌরসভার আবর্জনা। ১৭ মে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে ৩ যুবক পৌরসভার ভ্যান গাড়ীতে করে নাজিরহাট পুরাতন ব্রিজ থেকে বাজারের জমাকৃত ময়লা আবর্জনা হালদা নদীতে ফেলতে দেখা গেছে।
বাজারের ময়লা আবর্জনা নদীতে ফেলার ফলে পানি দূষণের পাশাপাশি পরিবেশেরও মারাত্বক ক্ষতি হচ্ছে। এতে হালদা নদীর মাছ ও জীববৈচিত্র দুটিই নষ্ট হচ্ছে। এভাবে ময়লা আবর্জনা ফেলতে থাকলে নদী ভরাট হয়ে নদীর স্বাভাবিক স্রোত বিঘ্নিত হতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র মৎস্যপ্রজণন ক্ষেত্র হালদা নদী। মিঠা পানির এ নদী থেকে সরকার প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় করে থাকে। সম্প্রতি প্রশাসন হালদা নদী দূষণমুক্ত রাখতে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহন করার পাশাপাশি নানা বিধি-নিষেধ আরোপসহ প্রশাসনের পক্ষ থেকে হালদা নদী দখল ও দূষণমুক্ত রাখতে সবাইকে সর্তক করেন। কিন্তু প্রশাসনের এ বিধি-নিষেধকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে নাজিরহাট পৌরসভার দৈনন্দিন জমাকৃত ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে পার্শ্ববর্তী হালদা নদীতে।
এ বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর মুহাম্মদ আলী বলেন, নাজিরজাট পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা হালদা নদীতে ফেলা নিষেধ আছে। কে বা কারা রাতের অন্ধকারে এ কাজটা করল, তা তদন্ত করা হবে।
পৌর মেয়র এসএম সিরাজুদৌলা বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত নই, খরব নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার রায় বলেন, হালদা নদী আমাদের জাতীয় সম্পদ। যারা নদী দখল-দূষণ করবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।