”প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি প্রতিটি শিশুকে সাংস্কৃতিক চর্চায় উদ্ধুদ্ধ করতে হবে”

চট্টগ্রাম : যে শিশুটি আনন্দ নিয়ে প্রথম পৃথিবীতে আসে তার জীবন যেন সেভাবে আনন্দময় হয়। শিশুদের আনন্দ বিনোদনের যে বিষয়গুলো তা পেলে শিশুরা স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি প্রতিটি শিশুকে সাংস্কৃতিক ও মেধা-মননচর্চায় উদ্বুদ্ধ করা গেলে তারা একদিন দেশের যোগ্য নাগরিক হয়ে গড়ে উঠবে।

সোমবার (১৪ মে) বিকাল ৫টায় চট্টগ্রাম শিশু একাডেমিতে আয়োজিত ৪ দিনব্যাপী শিশু আনন্দমেলা, সাংস্কৃতিক উৎসব ও শিশুনাট্য প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

শিশু প্রতিনিধি সাফওয়ানুল হকের সভাপতিত্বে ও শিশু একাডেমির প্রশিক্ষক তানভিরুল ইসলাম নাহিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শিশু আনন্দমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সরকারি চারুকলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর রীতা দত্ত।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা নারগীস সুলতানা। বিশেষ অতিথি ছিলেন মমতা’র প্রধান নির্বাহী আলহাজ্ব রফিক আহম্মেদ, বিস্তার’র পরিচালক আলম খোরশেদ।

এবারের শিশু আনন্দমেলায় স্টল প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এতে ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরাম, রাদিয়া প্রকাশন, স্টেকট্রা অটিজম স্কুল, এসওএস শিশুপল্লী, কিডস্ কালচারাল ইনস্টিটিউট, অপরাজেয় বাংলা, স্কাস টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার, বিটা, চট্টল ইয়ুথ কয়ার, লেডিস কর্নার, অবসর, সেঞ্চুরী কর্নার, নাহার কালেকশন, থ্রি ফ্রেন্ডস, কিডস জোন ও রোদেলা সোহা প্রভৃতি স্টল অংশ নেয়।

অনুষ্ঠানশেষে মেলা উপলক্ষে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের দলীয়, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাটক, শ্রেষ্ঠ অভিনয়, একক যাদুপ্রদর্শন ও একক পরিবেশনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সবশেষে যাদু শিল্পী রাজীব বসাকের যাদু প্রদর্শনসহ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

একুশে/এসটি/এটি