সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

জার্মানির মিউনিখে শপিং মলে গুলিতে বহু হতাহতের খবর

প্রকাশিতঃ ২৩ জুলাই ২০১৬ | ১:০৩ পূর্বাহ্ন

police actionজার্মানির মিউনিখের একটি বিপণিবিতানে অস্ত্রধারীর গুলিতে বেশ কয়েকজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এই রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত ডেইলি মেইল বলছে ৭ জন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে আরো ১০ জন। গুলিবর্ষণের পরই পুলিশ ওই শপিং মলে অভিযান চালাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। জার্মান পুলিশের বরাত দি​য়ে বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে এ কথা বলা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে হামলাকারী বা হতাহতের বিস্তারিত খবর পাওয়া যায়নি। টুইটারে জার্মান পুলিশ জানিয়েছে, শপিং মল ঘিরে পুলিশের অভিযান চলছে।

এদিকে জার্মানির একটি পত্রিকার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, গুলিতে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে শুক্রবার বিকালে মিউনিখের অলিম্পিয়া শপিং সেন্টারে এ হামলা হয় বলে জার্মানির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম ডয়েচে ভেলে জানিয়েছে। আর সুইডয়েচে সাইটংয়ের বরাত দিয়ে তারা বলেছে, হামলাকারীদের গুলিতে বেশ কয়েকজন নিহত ও বহু লোক আহত হয়েছেন।

অপরদিকে, জার্মান টেলিভিশন এনটিভি এ ঘটনায় ১০ জন নিহতের খবর দিয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।জার্মান স্পেশাল ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বলে এনটিভি জানিয়েছে। সেখানে গোলাগুলি চলছে জানিয়ে ওই বিপণিবিতানের এক কর্মী টেলিফোনে রয়টার্সকে বলেছেন, ওই এলাকায় তাদের অনেক সহকর্মী এখনও লুকিয়ে আছেন। অনেক গুলি হয়েছে। কতোগুলো গুলি হয়েছে তা আমি বলতে পারছি না, তবে এ সংখ্যা বহু, নাম প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়ে ওই বিপণিবিতান থেকে বলেছেন তিনি।

তিনি বলেন, বাইরে থেকে সবাই দৌঁড়ে স্টোরের ভিতরে আসে এবং আমি শুধু একজনকে নিচে পড়ে থাকতে দেখেছি, যিনি এত মারাত্মক আহত যে, তিনি বেঁচে নেই বলে আমার বিশ্বাস। আমাদের কাছে আর কোনো তথ্য নেই। আমরা জিনিসপত্র সংরক্ষণের কক্ষগুলোর পিছনে আছি। এখনও কোনো পুলিশ আমাদের দিকে আসেনি।

এ ঘটনার পর মিউনিখে ট্রেন, ট্রাম ও বাসের একাধিক লাইন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে পরিবহন কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। হামলার পর যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জার্মানিতে অবস্থানরত নাগরিকদের মিউনিখের ওই এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে।

গত সোমবার জার্মানির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ভুর্সবুর্গে ট্রেনে ছুরি নিয়ে হামলা চালিয়ে চার যাত্রীকে আহত করে এক কিশোর। পরে পুলিশের গুলিতে ওই আফগান কিশোর নিহত হয়।