মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১

রাঙ্গামাটিতে গুলিবিদ্ধ চারজন চমেক হাসপাতালে

প্রকাশিতঃ ৪ মে ২০১৮ | ৭:২১ অপরাহ্ন

.চট্টগ্রাম : উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যাওয়ার পথে মাইক্রোবাস লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীদের গুলিবিদ্ধ ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক এর চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার পর দিকে তাদের রাঙ্গামাটি থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। পরে জরুরী বিভাগের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।

তারা হলেন খাগড়াছড়ির মহালছড়ির ২৪ মাইল এলাকার রাজ চাকমার ছেলে দিগন্ত চাকমা (২৩), খাগড়াছড়ির মুঙ্গাছড়ির লক্ষ্মীপুর চাকমার ছেলে অর্জুন চাকমা (২৪), দেওয়ানপাড়ার কদম চান চাকমার ছেলে মিহির চাকমা (২৫)ও বনমোহন চাকমার ছেলে অরসিং চাকমা (৩৮)।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক আব্দুল হামিদ একুশে পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এরআগে দুপুর বারোটার দিকে নানিয়ারচর মহালছড়ি সীমান্তে ঘটনাস্থলেই তিন ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক এর তিনজন আর হাসপাতালে নেয়ার পথে দুই জন নিহত হন। নিহতরা হলেন, তপন জ্যোতি চাকমা, সুজন চাকমা, টনক চাকমা, মাইক্রোবাস চালক সজীব ও কর্মী সেতুলাল চাকমা । এঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরো ৭ জন।

মাত্র এক দিন আগে রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমাকে প্রকাশ্যে দিনের আলোতে গুলি করে হত্যা করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শক্তিমান চাকমা তার সরকারি বাসভবন থেকে স্থানীয় বাজারে যান। বাজার থেকে মোটরসাইকেলে করে উপজেলা পরিষদের সামনে আসেন। মোটরসাইকেল থেকে নামতেই গুলি করা হয় তাকে। ঘটনাস্থলেই মারা যান অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমা। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শক্তিমান চাকমার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় তার সহকারী রুপম চাকমা (৩৫) আহত হয়েছেন।

এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ইউপিডিএফ এর শীর্ষ নেতাদের দায়ী করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি।