চট্টগ্রাম : বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেছেন, দেশের প্রত্যেক শিশু আনন্দের মাঝে বাঁচতে চায়। কিন্তু অনেক শিশু অবহেলায় গড়ে উঠে আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর শিশুদেরকে পড়ালেখার পাশাপাশি আনন্দ-বিনোদনের সুযোগ দিতে দেশের শিশু একাডেমিগুলোকে ঢেলে সাজিয়েছে। শিশুদের মেধা-মনন আরো বিকশিত করতে শিশু একাডেমি একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। শিশুদেরকে স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠার সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে পারলে তারা আগামীতে জাতিকে আলোকিত করবে এবং আগামী দিনে সুখী-সমৃদ্ধশালী বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে এগিয়ে আসবে। পাশাপাশি মাদক ও বাল্যবিবাহ থেকে শিশুদেরকে রক্ষাসহ পৃথিবীর বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় চট্টগ্রাম শিশু একাডেমী প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি আয়োজিত জাতীয় পর্যায়ের ‘বাংলার বৈশাখ বাংলার নাচ’ দলীয় নৃত্য প্রতিযোগিতার উদ্বোধন ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ আমিরুল কায়সারের সভাপতিত্বে শিশু একাডেমির প্রশিক্ষণার্থী স্বাগত বড়ুয়া নদী ও মিফতাহুল জান্নাত জেবার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত দলীয় নৃত্য প্রতিযোগিতার উদ্বোধন ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব লায়লা জেসমিন, দৈনিক প্রথম আলো’র যুগ্ম সম্পাদক কবি বিশ্বজিৎ চৌধুরী ও দৈনিক আজাদী’র সহযোগী সম্পাদক কবি রাশেদ রউফ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর পরিচালক আনজীর লিটন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম শিশু একাডেমির জেলা সংগঠক নারগীস সুলতানা। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি, গণমাধ্যমকর্মী, জনপ্রতিনিধি, শিশু একাডেমীর প্রশিক্ষক, ক্ষুদে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের পূর্বে বেলুন উড়িয়ে জাতীয় পর্যায়ের দলীয় নৃত্য প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। অনুষ্ঠান শেষে জাতীয় পর্যায়ে ‘বাংলার বৈশাখ বাংলার নাচ’ দলীয় প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ করেন প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় (দলীয় লোকনৃত্য) ক-বিভাগে রংপুর বিভাগের রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ প্রথম, চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম স্কলারস স্কুল এন্ড কলেজ দ্বিতীয় ও ঢাকা বিভাগের ঢাকা সেনানিবাস ধামালকোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় তৃতীয় স্থান অর্জন করেন।
খ-বিভাগে বরিশাল বিভাগের বরিশাল রূপাতলী হাউজিংয়ের শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রথম, রংপুর বিভাগের রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ দ্বিতীয় ও রাজশাহী বিভাগের সিরাজগঞ্জের উল্লা পাড়াস্থ মোমেনা আলী বিজ্ঞান স্কুল তৃতীয় স্থান অর্জন করেন। গ-বিভাগে রংপুর বিভাগের রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ প্রথম, বরিশাল বিভাগের সরকারি হরচন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় দ্বিতীয় ও সিলেট বিভাগের সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় তৃতীয় স্থান অর্জন করেন। সবশেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
একুশে/প্রেসবিজ্ঞপ্তি/এটি