চট্টগ্রাম: কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম নগরীতে যাওয়ার পথে পটিয়ায় একটি বাস খালের পানিতে পড়ে গেছে। সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টায চলন্ত যাত্রীবাহি গাড়িটি পিচ্ছিল সড়কের কারণে খাদে পড়ে যায়। ওই ঘটনা ওই ঘটনায় অন্তত ২০ জন যাত্রী আহত হয়। তবে এখনো পর্যন্ত কোন যাত্রী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
ঘটনার পরপর আশপাশের লোকজন এসে বাস থেকে প্রায় ৪০ যাত্রীকে উদ্ধার করে। তাদের মধ্যে ২০ জন আহত হয় এবং কয়েক জনের অবস্থা গুরুতর। পরে এলাকার লোকজনের সাথে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন।
প্রাথমিক অভিযান শেষে ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা জানান, সেখানে আর কোন যাত্রী বা মৃত দেহ নেই। রাতে পুরোদমে উদ্ধার অভিযোন চালানো হবে। এদিকে দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে সড়কের উভয় পাশে ৫ কিলিমোটির যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে যাত্রী ও এম্বুলেন্সবাহী রোগীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হন। উক্ত দীর্ঘ যানজটে আটকে পরেন পটিয়ার সাংসদ সামশুল হক চৌধুরী।
স্থানীয় সূত্র জনায়, সড়কের উভয় পাশে সড়ক ও জনপথ বিভাগ সম্প্রতি কাচা মাটি দিয়ে ভরাট করে। কাল বৈশাখীতে এসব মাটি কাদায় পরিণত হয়ে মহাসড়কের উপর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। এ কারণে সড়কের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটে। তবে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটে মনসা বাদামতল এলাকায়। শাহ আমিন সার্ভিসের চট্টমেট্রো ব ০৫-০১১৪ নম্বরের বাসটি রাস্তা থেকে ছিটকে খালের পানিতে পড়ে যায়। ওই সময় ভাটার টানে পানি কম থাকায় প্রাণহানি হয়নি।
উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নেয়া স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ ফাহিম জানান, বড় ধরণের দুর্ঘটনার পর গ্রামের লোকজন সেখান থেকে যাত্রীদের উদ্ধারে এগিয়ে আসে। তিনিসহ এলাকার লোকজন সেখান থেকে শিশু. বৃদ্ধ ও নারীসহ প্রায় ৪০ জনকে উদ্ধার করেছেন। তবে অনেকে আহত হলেও অধিকাংশ যাত্রী সুস্থ ছিলেন।
পটিয়া হাইওয়ে ক্রসিং পুলিশ ফাড়িঁর ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান জানান, ‘ খালের পানিতে পড়ে যাওয়া যাত্রীবাহি বাসটিতে আটকে পরা যাত্রীদের উদ্ধার করে পাশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। বাসটি উদ্ধারের জন্য পুলিশের সাথে ফায়ার সার্ভিস যৌথ তৎপরতা চালাচ্ছে। তবে এখনো পর্যন্ত নিহতের কোন খবর পাওয়া যায় নি। উদ্ধার তৎপরতা শেষ হলে যানজটও শেষ হবে।’
এমএন/এসআর/একুশে