মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১

অখণ্ড বোয়ালখালী নয়, রাঙ্গুনিয়াতেই থাকছে শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউপি

প্রকাশিতঃ ৩০ এপ্রিল ২০১৮ | ৬:৩৮ অপরাহ্ন

চট্টগ্রাম : একাদশ সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৭ ও চট্টগ্রাম-৮ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে অখণ্ড বোয়ালখালী করার নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব ভোটারদের আপিলে ঠিকেনি। নবম ও দশম সংসদ নির্বাচনের মত বোয়ালখালীর শ্রীপুর ও খরণদ্বীপ ইউনিয়ন চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনেই থাকছে। ফলে অখণ্ড বোয়ালখালী আর হচ্ছে না।

রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে সোমবার কমিশন সভার পর এ সিদ্ধান্ত জানান নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘৩০০ আসনের সীমানা গেজেট আকারে প্রকাশের জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছে। ২৭৫টি আসনের ক্ষেত্রে দশম সংসদের সীমানাই বহাল থাকছে। বাকি ২৫টি আসনে পরিবর্তিত সীমানায় ভোট হবে।’

গত ১৪ মার্চ পুনঃনির্ধারিত সীমানার খসড়ায় ৪০ আসনে পরিবর্তনের প্রস্তাব করে বাকি ২৬০টি আসনে দশম সংসদের সীমানা বহাল রাখার কথা বলা হয়। কিন্তু এরপর রাঙ্গুনিয়াসহ ৬০টি আসনের বিষয়ে আপত্তি আসে। সংশোধিত আসন-সীমানার চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম ৮ আসনটি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মোহরা, চান্দগাঁও, ষোলশহর, শুলকবহর ও পাচঁলাইশ ওয়ার্ড এবং বোয়ালখালী উপজেলার শ্রীপুর ও খরণদ্বীপ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। যার আনুমানিক ভোটার সংখ্যা পৌনে ৫ লাখ। এ আসনের সংসদ সদস্য জাসদের কার্যকরী সভাপতি মঈন উদ্দিন খান বাদল।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম-৭ আসনটি রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সাথে বোয়ালখালীর শ্রীপুর ও খরণদ্বীপ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। যার আনুমানিক ভোটার সংখ্যা আড়াই লাখ। এ আসানের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

এ প্রসঙ্গে রাঙ্গুনিয়ার সাংসদ ড. হাছান মাহমুদ একুশে পত্রিকাকে বলেন, ‘রাঙ্গুনিয়া আসনে থাকার জন্য আমি কোনও আবেদন করিনি। ওই দুই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগরে নেতৃবৃন্দ, প্রত্যেকটি মসজিদ, মন্দির সহ ধর্মীয় উপসনালয়ের ধর্মীয় প্রধানরা, স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা রাঙ্গুনিয়া আসনের সাথে থাকার জন্য আবেদন করেছিলেন। তারা শুনানিতে অংশ নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে কনভিন্স করতে সক্ষম হওয়ায় আগের সংসদীয় আসন বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এছাড়া বোয়ালখালীর আরো অনেক ইউনিয়নের মানুষ আমাদের আসনের অন্তভুর্ক্ত করার আগ্রহ দেখিয়েছে।’

ভোটের ব্যবধানেও চট্টগ্রাম-৮ আসনের সাথে শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়ন থাকাটা যুক্তিযত বলে মনে করেন ড. হাছান মাহমুদ এমপি। কেননা, চট্টগ্রাম-৮ আসনে আনুমানিক ভোটার সংখ্যা পৌনে ৫ লাখ আর চট্টগ্রাম-৭ আসনে আনুমানিক ভোটার সংখ্যা আড়াই লাখ।

চট্টগ্রাম-৮ আসনের এমপি মইন উদ্দিন খান বাদলের মোবাইল সংযোগ না পাওয়ায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

এডি/একুশে