চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ওবায়দুল কাদের আগামী জাতীয় নির্বাচনকে তামাশার নির্বাচনে পরিণত করার জন্য ভারতের শরাণাপন্ন হয়েছেন। কিন্তু ভারত সরকার তাদের কথায় সায় দেয়নি। ভারত তাদেরকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে গণতান্ত্রিকভাবে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে যে সরকার ক্ষমতায় আসবে, তারা সেই সরকারকে সমর্থন দেবে। তাই ওবায়দুল কাদের ব্যর্থ হয়ে দেশে এসে বলছেন, ভারত নাকি নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা বলবে না। এতে বোঝ যায় ভারত সরকারের আস্থা এখন তাদের উপর আর নেই।
তিনি বলেন, সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে লিখা আছে সকল নির্বাহী বিভাগের কর্মকর্তাগণ নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে। সেই মোতাবেক নির্বাচন কমিশন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দিতে পারে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট ডাকাতি ও ব্যালেট ছিনতাই থেকে রক্ষা পেতে এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য এদেশের জনগণ সেনা মোতায়েন চায়।
বুধবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে নগরীর কাজীর দেউরীস্থ নূর আহমদ সড়কে বেগম জিয়ার মুক্তির দাবীতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে এক মানবন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত বলেন, তারেক রহমান বাংলাদেশের বৈধ নাগরিক। তিনি যুক্তরাজ্যে রজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন। পাসপোর্ট জমা দেয়া মানে নাগরিকত্ব বর্জন করা নয়। কোন ছলচাতুরী করে সরকার তারেক রহমানের দেশে আসা বন্ধ করতে পারবে না। তারেক রহমান স্বেচ্ছায় বীরের বেশে দেশে ফিরে আসবেন।
এসময় বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলেন এই নেতা। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে পায়ে ও হাটুর ব্যথায় ভুগছেন। ঔষুধ সেবনের পাশাপাশি পায়ের ব্যথার জন্য উন্নত থেরাপির জন্য বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করা অত্যন্ত জরুরী। যদি বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার অভাবে স্বাস্থ্যগত অবনতি হয় তাহলে এই সরকারের শেষ রক্ষা হবে না।
মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান, চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি মো. মিয়া ভোলা, ছৈয়দ আহমদ, মাহবুবুল আলম, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, উপদেষ্টা জাহিদুল করিম কচি, নবাব খান, যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, কাজী বেলাল উদ্দিন, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মন্নান, আনোয়ার হোসেন লিপু, সামশুল হক, গাজী মো. সিরাজউল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক শিহাব উদ্দিন মবিন, শেখ নুরুল্লাহ বাহার, সহসাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. এস এম সরোয়ার আলম, থানার সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মো. সেকান্দর, সহসম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী, মো. শাহাজাহান, ইসমাঈল বাবুল, আলী আজম, নগর শ্রমিক দল সভাপতি তাহের আহমদ, নগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পদিকা জেলী চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক কাউন্সিলর জেসমিনা খানম, থানার সম্পাদক হাজী বাদশা মিয়া, নূর হোসেন, হাবিবুর রহমান, নগর বিএনপির সদস্য আইয়ুব খান, জাকির হোসেন, শাহনেওয়াজ চৌধুরী মিনু, ওয়ার্ড সভাপতি আকতার খান, এস এম মফিজ উল্লাহ, মো. আসলাম, সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিম বাবলু, হাবিবুর রহমান চৌধুরী, এস এম আবুল কালাম আবু, হাসান ওসমান, সিরাজুল ইসলাম মুনসি, মনজুর মিয়া, মো. হাসান, ছাত্রদল নেতা জিয়াউর রহমান জিয়া, শেখ রাসেল, জমির উদ্দিন নাহিদ, জিসাস সভাপতি আবুল হাসেম আজাদ, চালকদল নেতা জাহাঙ্গির আলম, মো. মুন্না, মহসিন তালুকদার, সোহেল চৌধুরী প্রমুখ।
সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম।
একুশে/এটি