নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অগ্নিআতঙ্কের গুজবে হুড়োহুড়ি করে বের হতে গিয়ে আহত হয়েছেন অন্তত দশজন নারী-শিশু। এ সময় হাসপাতালে ভয়াবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয় বলে জানান শিশুদের হাসপাতালে নিয়ে আসা স্বজনরা।
শনিবার (২১ এপ্রিল) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে হাসপাতালের শিশু বিভাগের ২ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত আড়াইটার দিকে হঠাৎ আগুন আগুন বলে কেই একজন চিৎকার করে উঠে। এসময় শিশুদের নিয়ে আসা মা ও স্বজনরা আতঙ্কিত হয়ে ওয়ার্ডের প্রধান ফটক দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় হুড়োহুড়িতে অন্তত ১০ নারী আহত হন। শিশুদের শরীরে লাগানো ইনজেকশন ও স্যালাইনের সুঁই ছিটকে গিয়ে বেশ কয়েজন শিশুও আহত হয়।
রাঙ্গামাটি থেকে ছেলেকে নিয়ে চমেকে আসা এনজিও কর্মী হাসনাহেনা একুশে পত্রিকাকে বলেন, ‘রাত আড়াইটার দিকে ঘুমের ঘোরে শুনতে পাই কেউ একজন আগুন আগুন বলে চিৎকার করছে। এসময় আমিও আমার সন্তান নিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু একই সময়ে সবাই বের হতে গিয়ে হুড়োহুড়িতে অনেকে আহত হন। সিরিঞ্জ শরীরে গেঁথে কয়েজন শিশুও আহত হয়। রক্তে ভেসে যায় ওয়ার্ডের ফ্লোর।’
বাঁশখালি থেকে আসা মাবিয়া বেগম বলেন, ‘আমার কাছে গত রাতটা ছিলো দুঃস্বপ্নের মত। আগুন শব্দটা শুনেই মাথাটা চক্কর দিয়ে উঠে। পরে বাচ্চাটাকে কোনো মতে কোলে নিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসি। মনে হচ্ছিল ভূমিকম্পে ভবনটা ভেঙ্গে পড়ছে। পরে রাতে আর ঘুম আসেনি।’
ঝর্ণারানী নামে এক আয়া একুশে পত্রিকাকে জানান, এ ধরনের ঘটনা প্রায়শই ঘটছে। মূলত চোরের দল মানুষের ঘুমের ঘোরের সুযোগে, আগুনের আতঙ্ক ছড়িয়ে মোবাইলসহ দামি জিনিষপত্র হাতিয়ে নেয়।
এদিকে এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি জানেন না বলে এড়িয়ে যান। শিশু বিভাগের কর্মরত চিকিৎসকরাও এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
একুশে/এএ