আকমাল হোসেন, একুশে পত্রিকা (ছবি)
চট্টগ্রাম: আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে বেসরকারি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূইয়া। শনিবার চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রাক-বাজেট মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের মতামত নিয়ে এবারের বাজেটের আকার বাড়ানো হচ্ছে। এর মূল লক্ষ্য ব্যবসা ও বিনিয়োগ বাড়ানো। বিনিয়োগ বলতে কেবল সরকারি বিনিয়োগ নয়, বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। আমরা সেই লক্ষ্য নিয়ে বাজেট প্রস্তুত করছি।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, সরকারি বিনিয়োগের বেশিরভাগ চলে যায় অবকাঠামো উন্নয়নে। কিন্তু বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়লে কর্মসংস্থান বাড়ে, শিল্পায়ন হয়।এর বহুমুখী প্রভাব অর্থনীতিতে পড়ে। তাই বেসরকারি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা হবে। যে সব পণ্য দেশে তৈরি সম্ভব সেগুলোর কাঁচামাল আমদানিতে সুবিধা দেওয়া হবে। তাহলে কর্মসংস্থান বাড়বে, দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি মজবুত হবে। তবে দেশি পণ্যের সরবরাহের বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে।
ব্যবসায়ীদের সঠিকভাবে কর প্রদানের আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) বাড়ছে কিন্তু করের পরিমাণ বাড়ছে না। এর অর্থ আমরা সবাই কর দিচ্ছি না। এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ যারা করযোগ্য তাদেরকেও সঠিকভাবে কর দেওয়া রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। করের আওতা যাতে বাড়ানো যায় সেটি বিবেচনায় রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ভালো যোগসূত্র রেখে যেতে চাই। মুদ্রানীতি হতে হবে ব্যবসা-বান্ধব। বিভিন্ন পণ্যের ট্যারিফ ভ্যালু নির্ধারণে পর্যালোচনা করা হবে। চট্টগ্রাম বন্দরে একটি মোবাইল স্ক্যানার উদ্বোধন করেছি। বছরখানেকের মধ্যে আরও স্ক্যানার মেশিন বসানো হবে। ওজনও স্বয়ংক্রিয় হয়ে যাবে। নিলামসহ সব কাজে গতিশীলতা আনা হবে।
তৈরি পোশাকের বাইরে পোল্ট্রি শিল্পসহ আরো কিছু শিল্পের ক্ষেত্রে কাঁচামাল আমদানিতে শুল্কমূক্ত সুবিধা প্রদানের চিন্তাভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান। চট্টগ্রাম চেম্বারের পক্ষ থেকে কাঁচামাল ও মেশিনারি পার্টস আমদানির ক্ষেত্রে অগ্রিম কর প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়।
সিএমসিসিআই সভাপতি খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম, এনবিআরের সদস্য রেজাউল হাসান, ফিরোজ শাহ আলম, কানন কুমার রায়, দৈনিক আজাদী সম্পাদক এমএ মালেক ও নারী নেত্রী রেহানা বেগম রানু উপস্থিত ছিলেন।
এসআর/এএ/একুশে