বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেল তিন কিশোরী

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় চারদিনে তিনটি বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। তিন কিশোরী সাবালিকা না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেওয়ার বিষয়ে তাদের পরিবারের কাছ থেকে মুচলেকাও নেওয়া হয়েছে।

পুলিশ জানায়, সাতকানিয়ার নলুয়া ইউনিয়নের মৈশামুডা মরফলা বাজার এলাকার এক কিশোরী এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। তার সঙ্গে ছদহা ইউনিয়নের ছোট ঢেমশার বাসিন্দা আহমদ কবিরের প্রবাসী ছেলে আবুল কাশেম মো. পারভেজের বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। সেজন্য সাতকানিয়া রাস্তার মাথায় ‘ড্রিম হাউজ কমিউনিটি সেন্টারে’ শুক্রবার ভোজের আয়োজন করা হয়। বাল্য বিয়ের খবর পেয়ে দুই পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে কমিউনিটি সেন্টার বন্ধ করে দেয় পুলিশ।

এর আগে গত বুধবার মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের হেল্প লাইনে অভিযোগ পাওয়ার পর কালিয়াইশ ইউনিয়নে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ের আয়োজন পুলিশ গিয়ে বন্ধ করে দেয়। ওই স্কুলছাত্রীর সাথে বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুরের বাসিন্দা সুকুমার জলদাসের সাথে আগামী ২৯ এপ্রিল বিয়ের তারিখ ঠিক করা হয়েছিল।

এ ছাড়া এছাড়াও গত মঙ্গলবার কেওচিয়া ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রবাসী শামসুল ইসলামের ১০ম শ্রেণী পড়–য়া নাবালিকা মেয়ের সাথে একই গ্রামের আবুল কাশেমের প্রবাসী ছেলে মো. রাশেদুল ইসলামের বিবাহের দিনক্ষণ ঠিক হয়। পরে এই বিয়েও বন্ধ করে দেয় পুলিশ।

সাতকানিয়া থানার ওসি রফিকুল হোসেন বলেন, নাবালিকার অভিভাবক ও পাত্রপক্ষের সাথে কথা বলে বাল্য বিবাহের কুফল সম্পর্কে জানিয়েছি আমরা। এরপর তারা নিজেদের ভুল বুঝতে পারেন। গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে তিন কিশোরীকে সাবালিকা না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দিতে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে।

এসআর/একুশে