নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক কার্প-জাতীয় মাছের প্রজননক্ষেত্র হালদা নদীতে ডিম ছেড়েছে মা মাছ।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বজ্রসহ ভারী বৃষ্টির পর মধ্যরাতে নদীতে ডিম ছাড়ে মা মাছ। আজ শুক্রবার ভোর ছয়টা পর্যন্ত ডিম আহরণ করেন হাটহাজারীর হালদাপাড়ের প্রায় তিনশ জেলে ও মৎস্যচাষি।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে নদীতে নমুনা ডিম দেখেন ডিম আহরণকারীরা।
হালদা নদী গবেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মঞ্জুুরুল কিবরিয়া জানান, নদীতে মা মাছ ডিম ছাড়ার খবর তিনি পেয়েছেন।
এদিকে হাটহাজারী উপজেলার ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা কাজী আবুল কালাম বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার প্রথম দিনেই তুলনামূলক ডিম বেশি পাওয়া গেছে। তবে তিন-চার দিন পর এর প্রকৃত হিসাব বলা যাবে।
তিনি আরো বলেন, ‘ডিম ছাড়ার মৌসুম শুরু হয়েছে। যদি আবারও বজ্রসহ প্রবল বর্ষণ হয় তবে মা মাছ আবারো ডিম ছাড়তে পারে।’
মদুনাঘাট হ্যাচারিসহ হালদা নদী সংলগ্ন ডিম থেকে রেণু ফোটানোর হ্যাচারিগুলো সংস্কার ও মেরামত করা হয়েছে বলেও জানান।
মদুনাঘাট জেলেপল্লির বাসিন্দা পরিমল দাস বলেন, এবার ডিম বেশি পাওয়ায় জেলেরা সবাই খুশি। ডিম পরিচর্যা করে এখন রেণু ফোটানো হবে।
গড়দুয়ারা নয়াহাট এলাকার ডিম আহরণকারী কামাল সওদাগর জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে কিছু কিছু এলাকায় ডিমের নমুনা পাওয়া গেছে। ১০০ থেকে ২০০ গ্রাম পর্যন্ত ডিমের নমুনা পেয়েছেন আহরণকারীরা।
রাতে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হয়, এরপর থেকে মা মাছ ডিম ছাড়তে পারে।
এক মাস পর আবারও ডিম পাওয়ার আশা করছেন জেলেরা। প্রতিবছর সাধারণত এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যেই হালদা নদীতে একাধিকবার ডিম ছাড়ে মা মাছ।##