চট্টগ্রাম : ‘সামনে নির্বাচন। এ বছরটি নির্বাচনের বছর, আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই অতীতের মতো পাহাড়ধসে আমরা আর কোনো প্রাণহানি দেখতে চাই না।’
বুধবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলনকক্ষে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির বৈঠকে এই কথা জানান বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান।
এসময় উপস্থিত কেউ কেউ ফিসফিস করেন; বলেন- ওমা এ কেমন কথা! পাহাড়ধসে প্রাণহানি রোধের ক্ষেত্রে মানবিক বা নৈতিক দায়িত্ব ছাপিয়ে নির্বাচন বছরের গুরুত্বটাই বড় হয়ে উঠলো বিভাগীয় কমিশনারের কাছে!
বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান এসময় প্রাণহানি থেকে বাঁচাতে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের পাদদেশে অবৈধ বসত-বাড়ির বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশনা দেন।
ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাহাড় ও পাহাড়ের পাদদেশে কাউকে বসবাস করতে দেয়া হবে না উল্লেখ করে বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান আরও বলেন, ‘বি সিরিয়াস। আমি কাল থেকে ইফেকটিভ জার্নিতে যাবো। বিদ্যুৎ বিভাগ, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, চট্টগ্রাম ওয়াসা, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক), চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (সিডিএ) নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের যে কোনো উপায়ে সরিয়ে নিতে হবে। নগরের মতিঝর্ণা, বাটালি পাহাড়, মিয়ার পাহাড়সহ চট্টগ্রামে ২৮টি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব পাহাড় ও পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছেন অনেকে। বর্ষাকালে যেকোন সময় পাহাড়ধসে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি হয়ে যেতো পারে। তা ঠেকাতে হবে। যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে।’
সভায় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন, পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. দেলোয়ার হোসেন, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ ওমর ফারুক, প্রধান ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন আহমেদ, সিডিএর প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি শাহিনুল ইসলমান খান, চসিকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এটি/একুশে