অধরা হাজী ইকবাল : ওসি বললেন, তিনি ‘জ্যোতিষী’ নন!

আবু আজাদ : ‘আমিতো আর জ্যোতিষী নই। ঝাঁকড়া চুল নেই যে, ঝাড়ি দিলেই আসামি টপ করে পড়বে।’- ঘটনার ২২ দিনে পরেও চট্টগ্রামে যুবলীগকর্মী মহিউদ্দিন হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা আওয়ামী লীগ নেতা হাজী ইকবাল গ্রেফতার না হওয়া প্রসঙ্গে এভাবেই নিজের দায় এড়াতে চেষ্টা করেন বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ময়নুল ইসলাম।

বুধবার (১৮ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে বারটার দিকে মুঠোফোনে ওসি মো. ময়নুল ইসলাম একুশে পত্রিকাকে বলেন,‘এ ঘটনায় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আটজন গ্রেফতার হয়েছে। হাজী ইকবালের ছেলে গ্রেফতার হয়েছে। আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আর কি?’

আরো : যে কোনো সময় দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন হাজী ইকবাল!

এক পর্যায়ে প্রতিবেদক হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা আওয়ামী লীগ নেতা হাজী ইকবাল প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘এখানে মূল আসামিকে? সবাই মূল আসামি। আমিতো আর জ্যোতিষী নই। ঝাঁকড়া চুল নেই যে, ঝাড়ি দিলেই আসামি টপ করে পড়বে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’

এর আগে এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি-বন্দর) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ মামলাটি থানায়, তাই এ বিষয়ে জানতে প্রতিবেদককে থানায় কথা বলার পরামর্শ দেন।

গত ২৬ মার্চ দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানার মেহের আফজল উচ্চ বিদ্যালয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের পুনর্মিলনী নিয়ে একটি সভা চলছিল। সেখানে হাজী ইকবালের নেতৃত্বে প্রায় ২০ জন উপস্থিত হয়ে মহিউদ্দিনকে কুপিয়ে খুন করে। রাজনৈতিক বিরোধে এই হত্যাকাণ্ড বলে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে প্রকাশ পেয়েছে।

আরো : যুবলীগ কর্মী খুন : হাজী ইকবালকে প্রধান আসামী করে মামলা

এই ঘটনায় বন্দর থানায় হাজী ইকবালকে প্রধান আসামি এবং তার ভাই-সন্তান-জামাতাসহ আরও ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন নিহত মহিউদ্দিনের বাবা। গ্রেফতার তিন আসামি আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ নেতা হাজী ইকবালের বিরোধিতা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার জেরে যুবলীগ কর্মী মহিউদ্দিন মহিদ খুন হন।

পুলিশ এ পর্যন্ত এজাহারভুক্ত আট আসামিকে গ্রেফতার করেছে। এদের মধ্যে গত ৩ এপ্রিল গভীর রাতে ঢাকার খিলক্ষেতে যুব মহিলা লীগের এক নেত্রীর বাসায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামী হাজী ইকবালের ছেলে আলী আকবরসহ চারজনকে আটক করে পুলিশ। তবে যুব মহিলা লীগের ওই নেত্রীর সহায়তায় দেওয়াল টপকে পালিয়ে যেতে সমর্থ হন হাজী ইকবাল।

আরো : যুবলীগ কর্মী খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ১

একুশে/এএ