চট্টগ্রাম : হঠাৎ দেখে যে কারো মনে হতে পারে বর্ষায় আবারো ডুবেছে চট্টগ্রাম নগর। না কিন্তু বিষয়টি এমন নয়। এটি অপরিকল্পিত উন্নয়নের আরো একটি উদাহারণ মাত্র।
বুধবার (১৮ এপ্রিল) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রধান ফটকে জমে আছে হাঁটু পানি। বেশ নোংরা পানি থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এই নোংরা পানি মাড়িয়ে রোগী ও তাদের স্বজনদের করতে হচ্ছে চলাফেরা। সেই জমা পানিতে মাঝে মাঝে আটকে পড়ছে সিএনজি অটোরিকশাসহ নানা যানবাহন।
হাসপাতালে আগত রোগী ও তাদের স্বজন ছাড়াও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্শার্থীদেরও বিব্রত অবস্থায় পড়তে হচ্ছে এই নোংরা পানি মাড়াতে গিয়ে। কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক মারিয়া মনসুর একুশে প্রত্রিকাকে বলেন, ‘আজ ক’দিন ধরে এই ফটকে পানি জমে বিচ্ছিরি একটা অবস্থা। পাশের গেটেও তালা। তাই বাধ্য হয়ে নোংরা পানি মাড়িয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।’
সন্দ্বীপ থেকে বৃদ্ধ মাকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন মিজান। টেম্পো থেকে নেমে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে আছেন তিনি। কীভাবে হাসপাতালে প্রবেশ করবেন বুঝতে পারছেন না। বৃদ্ধা মাকে কীভাবে এই পানি দিয়ে নিয়ে যাবেন তা ভাবছেন। শেষমেষ আবারো রিকশায় উঠে চমেকের পূর্ব গেট দিয়ে প্রবেশ করলেন তিনি।
রাস্তা উঁচু করার জন্য ফেলা ইট আর বালিতেই এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। অপরিকল্পিতভাবে কাজ শুরু করায় বন্ধ হয়ে গেছে পাশের ড্রেনের মুখও। তাই গেটের নিচু অংশে পানি জমে এ দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। চমেকের পূর্ব গেটের অবস্থাও কাদায় মাখামাখি।
এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জালাল উদ্দিনের সঙ্গে বেশ কয়েকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এএ/এটি/একুশে