চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার উত্তর খুরুশকুল গ্রামের বাসিন্দা কফিল উদ্দিন হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানার নৌ-বাহিনী হাসপাতালের সামনে থেকে এই মামলার এক আসামি গ্রেফতারের পর এই তথ্য জানানো হয়।
গ্রেফতার মো. জালাল উদ্দিন (২৮) আনোয়ারা উপজেলার পশ্চিম জুঁইদন্ডি গ্রামের আলতাফ মুন্সির ছেলে।
পিবিআই সূত্র জানায়, বিদেশ পাঠানোর বিষয়ে জুঁইদন্ডি এলাকার মো. হাশেমের কাছ থেকে মাত্র ৬ হাজার টাকা পাওনা ছিল জাহাঙ্গীর আলমের। এ নিয়ে চৌমুহনী বাজারে দুইজনের মধ্যে মারামারিও হয়। এর জেরে হাশেমকে খুন করার পরিকল্পনা করে জাহাঙ্গীর। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৬ সালের ১৬ অক্টোবর জুয়া খেলার কথা বলে রাতে জালাল নামের একজনের মাধ্যমে হাশেমকে ডেকে আনে কফিল। এ সময় হাশেমের সাথে ছিল কফিল উদ্দিন।
জুঁইদন্ডি গ্রামের পার্শ্ববর্তী বেড়িবাঁধের সাঁকোর গোড়া এলাকায় তারা পৌছালে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জাহাঙ্গীর আলম, আবুল কাশেম, মোক্তার আহম্মদ, নুর হোসেন, মোঃ রহিম, জাগের হোসেন, ইয়াছিন, জানে আলম ও তাদের অজ্ঞাতনামা সহযোগীরা আবুল হাশেমের উপর হামলা চালায়। এ সময় আবুল হাশেম চিৎকার দিয়ে জালালকে ডাক দিলেও সে তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেনি।
তখন আবুল হাশেমের সাথে থাকা কফিল উদ্দিন তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে যায়। তখন আসামিরা কফিলকেও কিরিছ দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো এবং রড ও লাঠি দিয়ে পিটাইতে থাকে। এরমধ্যে আবুল হাশেম আহত অবস্থায় দৌঁড়ে পালাতে সক্ষম হলেও কফিল আসামিদের আঘাতে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক মোহন লাল চন্দ বলেন, কফিল হত্যার ঘটনায় মামলাটি এর আগে সিআইডি তদন্ত করে ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছিল। পরে আদালতের আদেশে মামলাটি পুণরায় তদন্ত করি আমরা। দেড় বছর পর মামলাটির মূল রহস্য উম্মোচন করার পাশাপাশি অন্যতম খুনি জালালকে গ্রেফতার করেছি আমরা। বুধবার তাকে আদালতে হাজির করা হবে।
এসআর/একুশে