নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নন এমপিও শিক্ষকদের এমপিও ভুক্ত করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন সিটি মেযর আ জ ম নাছির উদ্দিন।
সোমবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে চসিক সম্মেলন কক্ষে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভায় তিনি এ তথ্য জানান।
মেয়র বলেন, ‘প্রতি বছর আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ভর্তুকি দিয়ে চালাতে হচ্ছে। গত অর্থ বছরে শিক্ষা খাতে প্রায় ৪৩ কোটি সাড়ে ৭৭ টাকা লাখ ভর্তুকি দিতে হয়েছে। নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও নগরবাসীর শিক্ষা সেবা আমাদেরকে চালিয়ে যেতে হচ্ছে।’
‘তাই সিটি করপোরেশনকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও চালাতে হবে আবার ভর্তুকিও কমানোর যথাসাধ্য উদ্যোগ নিতে হবে। এ লক্ষ্যে সকল এমপিও বিহীন শিক্ষকদেরকে এমপিও ভুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। একই সাথে চসিকের এমপিও ভুক্ত শিক্ষকদেরকে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে বদলির সিদ্ধান্তও গ্রহণ করা হয়েছে।’বলেন সিটি মেয়র।
এসময় তিনি এমপিও ভুক্ত শিক্ষকদেরকে তাদের জয়েনিং প্লেসে বা যে প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে এমপিওভুক্ত হয়েছেন সেখানে বদলি বা পদায়ন করার নির্দেশনা দেন।
তিনি আরো জানান, চলতি সপ্তাহের মধ্যেই কমিটি এমপিও শিক্ষকদের প্রাথমিক তালিকাভুক্তি বিচার-বিশ্লেষন করবে। কারো ব্যাপারে কোন ধরণের তথ্য-উপাত্তগত ক্রটি-বিচ্যুতি বা অসামঞ্জস্যতা পরিলক্ষিত হলে সেক্ষেত্রে প্রাথমিক তালিকাটি পুনঃমূল্যায়ন করে নতুন তালিকা তৈরি করা হবে।
সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, এছাড়াও চসিক সম্মেলন কক্ষে আরো ৩ টি স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, নারী ও শিশু উন্নয়ন বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি এম আশরাফুল আলম, সমাজ কল্যান বিষয়ক স্থায়ী কমিটর সভাপতি কাউন্সিলর সলিম উল্লাহ বাচ্চু ও দারিদ্র হ্রাস করন ও বস্তি উন্নয়ন বিষয়ক স্থায়ী কমিটর সভাপতি কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিম।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন, মাজহারুল ইসলাম, সালেহ আহমদ চৌধুরী, হাসান মুরাদ বিপ্লব, মোরশেদ আকতার চৌধুরী, মো. আজম, মিসেস আবিদা আজাদ, ফারহানা জাবেদ, ফারজানা পারভিন,লুৎফুন্নেসা দোভাষ বেবী, মনোয়ারা বেগম মনি, সদস্য সচিব মিসেস নাজিয়া শিরিন, পধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলি আকতার চৌধুরী, স্থপতি এ কে এম রেজাউল করিম,উপ সচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু, মঈনুল হোসেন আলী জয়, জাইকার সিনিয়র বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা সঞ্জিত কুমার দাশ প্রমূখ।
একুশে/এএ