সুস্বাস্থ্যের জন্য ১০ পরামর্শ

vegetableএকটু সতর্ক থাকলে, একটু সচেতন হলে দৈনন্দিন কিছু কাজে যেমন স্বাচ্ছন্দ্য মেলে, তেমনি স্বাস্থ্য সুরক্ষাও সম্ভব হয়। এখানে তেমন ১০টি পরামর্শ:

১. তেলের জন্য স্প্রে বোতল
অতিরিক্ত তেল কোনো কিছুতেই ভালো নয়। না বস আর কর্মীর সম্পর্কে, না রান্নায়। রান্নায় পরিমাণ মতো তেল ব্যবহার করতে হলে কী করবেন? স্প্রে বোতল ব্যবহার করুন। পরিমাণমতো তেল ঢালতে এটা বেশ কাজে দেবে।

২. রান্না করুন ওভেনে
যেকোনো খাবার ভাজার চেয়ে বেক (ঝলসানো বা সেঁকা) করা উত্তম। ভাজলে খাবারের পুষ্টিগুণ অনেকটাই কমে যায়। তাই সুযোগ থাকলে খাবারটি ওভেনে বেক করে নিন।

৩. গরম পানিতে সবজি
সবজির সবটুকু পুষ্টি পেতে চাইলে গরম পানিতে সেদ্ধ করুন। মনে হতে পারে, এ আর নতুন কী! গরম পানি বলতে পানি আগে গরম করে নিতে হবে, তারপর সেখানে ঢালতে হবে সবজি। সবজি ও পানি একসঙ্গে গরম করলে সবজির পুষ্টিগুণ কমে যায়।

৪. মাখনের জায়গায় তেল
পেস্ট্রি বা অন্যান্য ডেজার্টে মাখনই সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়। এর বদলে আমন্ড বা নারকেল তেল মন্দ নয়। শরীরের মেদ ঝরাতে এটা দারুণ কাজে দেবে।

৫. ছোট প্লেট-বাটি কিনুন
পরিমাণের চেয়ে বেশি খাওয়ার অভ্যাস হয়ে গেলে ভীষণ সমস্যা। এ থেকে রেহাই পাওয়ার উপায় আছে অনেক। তবে প্রথমেই আপনি আপনার প্লেট-বাটির আকার কমাতে পারেন। এ জন্য আকারে ছোট প্লেট-বাটি কিনলেই কাজটা অনেক সহজ হয়ে যাবে।

৬. রান্নার আগে মাছের পরীক্ষা
রান্না করার আগে মাছের পরীক্ষা নিন। পরীক্ষার জন্য মরা মাছটাকে পানিতে ছেড়ে দিতে হবে। মাছটা ডুবে গেলে পরীক্ষায় উতরে গেল। আর ভেসে থাকলে সেটা না খাওয়াই ভালো।

৭. ধীরে খান
রাস্তার পাশে লেখা থাকে—ধীরে চলুন। বিশেষজ্ঞরা খেতেও বলেন ধীরে। কারণ, ধীরে খেলে এবং খাবার ঠিকঠাকমতো চিবোলে পাকস্থলী বেশ খানিকটা সময় পায়। কিসের সময়? খাবার সময় পাকস্থলী মস্তিষ্কে সংকেত পাঠায় যে আপনার আরও খাবার খেতে হবে কি হবে না। দ্রুত খেলে অধিকাংশ সময়ই পাকস্থলী সেই সময়টা পায় না, ফলে আমরা অতিরিক্ত খেয়ে ফেলি!

৮. টমেটো-শসা একসঙ্গে নয়
টমেটো আর শসা—এ যেন সালাদের অমর জুটি! কিন্তু এই জুটি ভালোর চেয়ে মন্দই বেশি করে। শসায় এমন কিছু উপাদান আছে, যা অন্য কোনো খাবার গাঁজিয়ে তুলতে পারে। তাই টমেটোর সঙ্গে সালাদে শসা থাকলে সেটা টমেটোর অ্যাসকোরবিক অ্যাসিড (ভিটামিন ‘সি’) ধ্বংস করে দেয়! মানে টমেটোর আসল গুণটাই থাকে না!

৯. কাঁচা ফল ও সবজি খান
সবজি, বিশেষ করে ফল খেতে চাইলে কাঁচাই খান। সবজি হয়তো সব সময় কাঁচা খাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু সম্ভব হলে খেতে অসুবিধা নেই। বরং এতে উপকার অনেক বেশি। কাঁচা ফল-সবজিতে অনেক বেশি পরিমাণে সেলুলোজ থাকে। যেটা আমাদের হজমপ্রক্রিয়া ভালো করে পাশাপাশি শরীরের বিষাক্ত উপাদানগুলো বিশোষণ করে। সেদ্ধ করে খেলে যা পাবেন না।

১০. চিনির ভালো বিকল্প
একটা বয়স পর্যন্ত চিনি শরীরের জন্য তেমন ক্ষতিকর নয়। কিন্তু যেই না আপনি একটু পরিণত, চিনি যেন শত্রুকে পরিণত হলো! তাই চিনির ভালো বিকল্প খুঁজতেই হয়। মধু এ ক্ষেত্রে ভালো একটা বিকল্প। তবে চিনির বিকল্প হিসেবে মধু ব্যবহার করতে চাইলে সেটা গরম না করাই ভালো। কারণ, অতিরিক্ত তাপে মধুর গুণাগুণ লোপ পায়।

সূত্র: ব্রাইটসাইড ডটএমই