রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

ভারত থেকে আসা পিস্তলের তথ্য আড়াল করছে পুলিশ

প্রকাশিতঃ ১৫ এপ্রিল ২০১৮ | ১১:৫৫ অপরাহ্ন

শরীফুল রুকন : বাংলাদেশে অবৈধ পিস্তলের প্রায় সবই ভারত থেকে আসছে। তবে এসব পিস্তলের গায়ে কোনোসময় ভারত লেখা থাকছে না। পিস্তলগুলোর গায়ে লেখা থাকে; মেইড ইন ইউএসএ, জার্মানি ও অনলি আর্মি সাপ্লাই ইত্যাদি। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশে বিদেশি পিস্তল উদ্ধার মানেই পুলিশ কর্মকর্তারা ধরে নেন সেটি ভারত থেকেই এসেছে। অবৈধ পিস্তল উদ্ধারের পর তদন্তে নেমে উৎসের এমন তথ্য পেলেও কখনো তা চার্জশিটে উল্লেখ করা হচ্ছে না।

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নগরের পাঁচলাইশ থানাধীন দুই নাম্বার গেট এলাকায় পুলিশের এএসআই আব্দুল মালেকের ওপর গুলি চালানো হয়। এ ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া খোকনকে রিমান্ডে এনে গত ১০ মার্চ চট্টগ্রাম শপিং কমপ্লেক্সের পাশের মাঠে পত্রিকায় মোড়ানো অবস্থায় পলিথিনের ভেতর থেকে পুলিশ একটি পিস্তল উদ্ধার করে। আট ইঞ্চি লম্বা পিস্তলটির বাম পাশে ইংরেজিতে ‘মেইড ইন ইউএসএ’ ডান পাশে ইংরেজিতে ‘৭ পয়েন্ট ৬৫ আরএনডি’ লেখা আছে। ব্যারেলের ওপর উল্লেখ ছিল, ‘অনলি আর্মি সাপ্লাই’।

ওই পিস্তলটি পুলিশকে গুলি করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছিল কিনা তা জানতে সেটি এবং ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া গুলির খোসা সিআইডির কাছে পাঠায় পাঁচলাইশ থানা পুলিশ। এরপর পরীক্ষা শেষে সিআইডির ব্যালাস্টিক বিশেষজ্ঞ আবদুর রহিম প্রতিবেদন দিয়ে জানান, উদ্ধার হওয়া পিস্তলটি দিয়েই পুলিশকে গুলি করা হয়েছিল। একই সাথে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘মেইড ইন ইউএসএ’ ও ‘অনলি আর্মি সাপ্লাই’ লেখা থাকা ওই পিস্তলটি ‘লোকাল মেইড’।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশে অবৈধভাবে পিস্তল তৈরি হয় না। এই দক্ষতা এখনো দেশের অস্ত্র কারিগররা রপ্ত করতে পারেনি। এখন যে সব পিস্তল পাওয়া যাচ্ছে সেখানে যা-ই লেখা থাকুক, সিআইডি যতই বলুক ‘লোকাল মেইড’ অর্থ্যাৎ বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে তৈরী; অলিখিত কথা হচ্ছে, সবগুলো পিস্তলই ভারত থেকে আসছে। কারণ আসামিদের তো আমরাই ধরি, তারা তো জানায় অস্ত্রগুলো কোথা থেকে আসে। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকাদের কাছে এখন পিস্তলের মজুদ এতটাই বেড়েছে যে, কার কাছে পিস্তল আছে সেই তালিকা না করে কার কাছে নেই সেটা করতে হবে!’

কক্সবাজারের মহেশখালীর দুর্গম পাহাড়ে এক নলা বন্দুক, এলজিসহ নানা অস্ত্র বানানো হয় অনেকটা ঘোষণা দিয়ে। তবে সেখানে অত্যাধুনিক পিস্তল তৈরির কথা শোনা যায় না। এমনকি মহেশখালীর পাহাড়সহ দেশে বসে পিস্তলের গায়ে খোদাই করে কিছু লেখাও কল্পনাতীত বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তারা।

ভারতীয় পিস্তলগুলোর গায়ে আমেরিকা, রাশিয়া, চীন, ইতালি, স্পেন, জার্মানি, ব্রাজিলসহ বিভিন্ন দেশের নাম উল্লেখ করার কয়েকটি কারণের একটি হতে পারে, প্রস্তুতকারী হিসেবে শীর্ষস্থানীয় অস্ত্র রফতানিকারক দেশগুলোর নাম দেখলে বিক্রির সময় ভালো দাম পাওয়া যায়। ৩০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকার মধ্যেই ওঠানামা করে ভারতীয় পিস্তলগুলোর দাম। চোরাইপথে আনা এসব ছোট অস্ত্রের লেনদেনে বেশিরভাগ সময় ব্যবহার হচ্ছে স্বর্ণ।

পুলিশের তদন্তে ওঠে এসেছে, সম্প্রতি পাঁচলাইশে পুলিশকে গুলির ঘটনায় ব্যবহার করা পিস্তলটি এসেছে ভারতের ত্রিপুরা থেকে কুমিল্লা সীমান্ত হয়ে। এরপর কয়েক হাত বদলের পর পিস্তলটি চট্টগ্রামে আসে। তবে এই তথ্য শেষপর্যন্ত মামলার চার্জশিটে উল্লেখ করা হবে কিনা সেটা এখনো নিশ্চিত নয়।

ভারতীয় পিস্তলের তথ্য চার্জশিটে না দেওয়া প্রসঙ্গে একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘ব্যালাস্টিক বিশেষজ্ঞ পরীক্ষা করে যদি বলেন, পিস্তলটি লোকাল মেইড বা স্থানীয়ভাবে তৈরি। তখন আমি চার্জশিটে কীভাবে লিখবো, পিস্তলটি ভারতীয়। তাহলে তো সাংঘর্ষিক হয়ে যাবে।’

ভারতীয় পিস্তলকে ‘লোকাল মেইড’ উল্লেখ করা বিষয়ে ব্যালাস্টিক বিশেষজ্ঞ ও সিআইডির পরিদর্শক আবদুর রহিম বলেন, ‘পিস্তল দুইভাবে তৈরি হতে পারে। প্রথমত ফ্যাক্টরি মেইড, দ্বিতীয়ত লোকাল মেইড। ফ্যাক্টরি মেইড বলতে বুঝানো হয়, ফ্যাক্টরিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি হয়েছে। লোকাল মেইড বলতে বুঝানো হয়, হাতে তৈরি করা হয়েছে। এখন পাঁচলাইশের যে পিস্তলটি লোকাল মেইড বলেছি, সেটা যে কোনো জায়গায় হাতে তৈরি করা হয়েছে।’

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে ভারতের সীমান্তঘেঁষা এলাকাগুলোয় গড়ে উঠেছে কিছু ছোট কারখানা। এর বাইরে সবচেয়ে বেশি পিস্তল তৈরি হচ্ছে ভারতের বিহারের মুঙ্গের শহরে। সেখানে বেশকিছু অস্ত্র কারখানা আছে। যে কোনো দেশের পিস্তল দেখে তারা নকল বানাতে পারেন। এবং পিস্তলগুলো খুব ভালোমানের।

পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, ৯০ ভাগ বিদেশি অস্ত্র সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসছে। বাকি বিদেশি অস্ত্রগুলো অসাধু ব্যবসায়ীরা বৈধপথে দেশে এনে অবৈধভাবে বিক্রি করে দিচ্ছে। কেউ অপরাধ করার জন্য এসব অস্ত্র সংগ্রহ করছে, আর কেউ অস্ত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে শক্তি দেখাতে কিনছে। ম্যাসেঞ্জারসহ নানা অ্যাপস ব্যবহার করে অস্ত্র বিষয়ক কথাবার্তা চালায় অবৈধ অস্ত্রধারীরা। এতে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা কঠিন হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া ঝামেলা এড়াতে রাজনৈতিক পরিচয়ধারীদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশ কর্মকর্তাদের আগ্রহ থাকে না।

একটি রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত থাকা এক তরুণ প্রায় সময় সাথে রাখেন নাইন এমএম পিস্তল। তবে এখনো অপরাধকে পেশা হিসেবে নেননি তিনি। অস্ত্র ব্যবহারের বিশেষ কোনো কারণ আছে কিনা তা এ প্রতিবেদক তার কাছে জানতে চান; তিনি বলেন, ‘পিস্তলটা থাকলে নিজের মধ্যে সাহস আসে। চলতে-ফিরতে ভয় লাগে না। রাতে বালিশের পাশে পিস্তলটি না রাখলে ঘুমাতেই পারিনা।’

এদিকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে বিভিন্ন সময়ে গরু ব্যবসায়ী ও নিরীহ বাংলাদেশি নিহত হলেও অস্ত্রপাচারকালে সীমান্তে এ পর্যন্ত কেউ নিহত হয়েছেন বলে শোনা যায়নি। তবে গুগলে সার্চ দিয়ে বিবিসি বাংলায় ২০১৫ সালের ২৪ মার্চ প্রকাশিত একটি সংবাদ পড়ে জানা গেছে, বাংলাদেশে পাচারের পথে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর ২৪ পরগনায় বনগাঁ শহর থেকে ১০টি পিস্তলসহ এক ভারতীয় দম্পতিকে আটক করেছিল ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

আব্দুল রউফ মন্ডল ও রহিমা মন্ডল নামের এই দম্পতি বিহারের জামালপুর থেকে এসব পিস্তল আনার পর তা বাংলাদেশ সীমান্তে একজনের হাতে তুলে দেওয়ার কথা ছিল বলেও জানিয়েছিলেন বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত অঞ্চলের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল এস পি তিওয়ারি।

বিবিসি বাংলার ওই প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ভারতের গোয়েন্দারা জেনেছেন, এই চালানটি ধরা পড়ার এক সপ্তাহ আগে আরও দুটি অস্ত্রের চালান সীমান্ত পার করে বাংলাদেশের দিকে চলে গেছে।

এ ছাড়া ইউটিউবে সার্চ দিয়ে ভারতের বিহারসহ বিভিন্নস্থানে পিস্তল বানানোর বেশকিছু ভিডিও দেখা যায়। এ সব ভিডিওতে কাপড় দিয়ে মুখ আড়াল করতে দেখা গেছে কারিগরকে। ভিডিওগুলোর কিছু কিছু অবৈধ অস্ত্রের কারিগররাই ইউটিউবে ছেড়ে দিয়েছেন, আর কিছু ভারতীয় সাংবাদিকদের অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে অনলাইনে এসেছে।


ভারত থেকে পিস্তল আসার বিষয়টির নানা প্রমাণ মিললেও উৎসের তথ্য কেন চার্জশিটে উল্লেখ করা হয় না? জানতে চাওয়া হয় চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশে কর্মরত একজন উপ-পরিদর্শকের (এসআই) কাছে। ইতিমধ্যে বেশকিছু অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে আলোচিত এ পুলিশ কর্মকর্তা নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানালেন, অনেক আগে একবার তিনি অস্ত্রের উৎসের কিছু তথ্য লিখে খসড়া চার্জশিটটি তার থানার ওসিকে দেখান। তখন ওসি জানান, চার্জশিটে এসব লিখলে উপকমিশনার (ডিসি) তা অনুমোদন দেবেন না। এরপর থেকেই অস্ত্রের উৎসের তথ্যগুলো উল্লেখ করা থেকে বিরত থাকার কথা জানান পুলিশের মাঠপর্যায়ের এ কর্মকর্তা।

বিদেশি পিস্তল উদ্ধারের ঘটনায় আদালতে জমা হওয়া তিনটি চার্জশিট পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, তাতে চোরাচালানে জড়িত সংঘবদ্ধ চক্রগুলোর কার্যক্রম ও উদ্ধারকৃত পিস্তল ও গুলির উৎস উঠে আসেনি। ২০১৭ সালের ৭ মার্চ চট্টগ্রাম নগরের ডবলমুরিং থানার দাইয়াপাড়া এলাকা থেকে ‘মেইড ইন পাকিস্তান’ লেখা অস্ত্র ও পাঁচ রাউন্ড কার্তুজসহ গ্রেফতার হন তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী গোলজার আলম। তাকে গ্রেফতারের পর ১৩ মার্চ পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডবলমুরিং থানার এসআই আল-আমীন। সে সময় রিমান্ডের আবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা যুক্তি দেন, উদ্ধারকৃত অস্ত্রের উৎস সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ, আসামির অপরাধপ্রক্রিয়া সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ, অস্ত্র সরবরাহ ও ঘটনার নেপথ্যে থাকা ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহের জন্য রিমান্ডের প্রয়োজন।

এরপর একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে গোলজারকে আদালতে হাজির করে ১৯ মার্চ প্রতিবেদন জমা দেন এসআই আল-আমীন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, আসামি একজন পেশাদার অপরাধী। তার সাথে থাকা অন্য আসামিদের নাম-ঠিকানা ও তাদের অস্ত্র-কার্তুজ সম্পর্কে সে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। গোলজার তার হেফাজত থেকে উদ্ধার অস্ত্র-কার্তুজের উৎস সংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেছেন রিমান্ডে। এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

এরপর একই বছরের ২৮ মার্চ এই মামলায় আদালতে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। সেখান অস্ত্রসহ আটক গোলজারকে একমাত্র আসামি করে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। এতে ঘটনার সময় গোলজারের সঙ্গে থাকা অজ্ঞাতনামা আসামি ছাড়াও অস্ত্র পাচারচক্রের অন্যরা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে গেছেন। অথচ গোলজারকে রিমান্ডে এনে সন্দেহভাজনদের নাম ও তথ্য পাওয়া গেছে বলে আদালতকে জানিয়েছিল পুলিশ।

এদিকে ২০১৭ সালের ৭ নভেম্বর চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার জিয়া বাজার এলাকায় ‘মেইড ইন স্পেন’ লেখা একটি অত্যাধুনিক পিস্তলসহ আবু নাছের নামের একজন গ্রেফতার হন। এর আগে ২০১৬ সালের ২২ মে নগরের চান্দগাঁওয়ের এক কিলোমিটার এলাকায় সৌদিয়া বাস থেকে ছয়টি ম্যাগজিনসহ ৭ পয়েন্ট ৬৫ বোরের তিনটি পিস্তল উদ্ধার করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। এ ঘটনায় বাসের হেলপারসহ দুইজনকে গ্রেফতারও করা হয়। এসব পিস্তল চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত থেকেই আসে বলে তদন্তে পুলিশ জানতে পারলেও চার্জশিটে উৎসের তথ্য উল্লেখ করা হয়নি।

এভাবে অস্ত্রধারী পর্যন্ত তদন্ত সীমাবদ্ধ থাকাকে পুলিশের অদক্ষতা ও দায়িত্বশীলতার অভাব হিসেবে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি রতন কুমার রায়। তিনি বলেন, ‘একটি বিদেশি অস্ত্র তো উড়ে বাংলাদেশে আসে না। অস্ত্র ও গুলি পাচারের সঙ্গে সংঘবদ্ধ চক্র জড়িত। এখন পুলিশ অস্ত্রসহ ধরে উৎসের কাছে যাচ্ছে না কেন সেটা রহস্যজনক। দেশের স্বার্থে পুলিশের উচিত হবে প্রতিটি অস্ত্র ও গুলির উৎস খুঁজে বের করা।’

অবৈধ বিদেশি পিস্তলের উৎস সম্পর্কে চার্জশিটে তথ্য না থাকা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম এ প্রতিবেদককে অস্ত্রআইন পড়ার পরামর্শ দেন। অস্ত্রআইন পড়লে এ বিষয়ে ‘বুঝে যাবেন’ বলেও প্রতিবেদককে আশ্বস্ত করেন তিনি।

এসআর/একুশে