সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

ফেসবুক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না: জয়

প্রকাশিতঃ ১৫ এপ্রিল ২০১৮ | ৯:৩৬ অপরাহ্ন

একুশে ডেস্ক : ফেসবুকে অপপ্রচার যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা দুনিয়াতেই হচ্ছে। এটি বিপজ্জনক। অনেকেই এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেন। আমার স্ত্রী ক্রিস্টিনা একটু পরপরই ফেসবুক চেক করেন। আমি এটাকে ফেকবুক বলি। এটা একটা কাল্পনিক, মিথ্যা জগত। কিন্তু এটিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। বললেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

রোববার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বিপিও সম্মেলন বাংলাদেশ-২০১৮ উদ্বোধনের সময় তিনি এ কথা বলেন।

জয় বলেন, আমি যুবসমাজকে প্রকৃতপক্ষে ইন্টারনেটের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে চাই। ইন্টারনেট একটি ভাস্ট প্লেস (বিশাল জগত)। এর কোনো সীমা নেই। এটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। ব্লক করাও সম্ভব নয়। ইন্টারনেটে কোনো কিছু ব্লক করে আটকানো যায় না। ব্লক করাটা আপনারাও চাইবেন না।

তিনি বলেন, আজ যদি ফেসবুককে ব্লক করে দেয়া হয়, তবে অভিযোগ আসবে। আপনারাই অভিযোগ করবেন। সুতরাং এটা করা সম্ভব নয়।

সজীব ওয়াজেদ বলেন, ফেসবুকে কারো মন্তব্য করা সেটা তার বাকস্বাধীনতা। কিন্তু এর মাধ্যমে উস্কানি দেয়া উচিত নয়। আমাদের সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একটি খসড়া করে ফেলেছে। এর মাধ্যমে কারো বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে না। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত, উস্কানি রোধ এই আইনের উদ্দেশ্য।
আইটি খাতে তরুণদের সম্পৃক্ততার চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, বর্তমানে ৭ লাখ তরুণ তাদের নিজেদের মতো করে ইন্টারনেটে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করছে। কারো অধীনে নয়, বরং নিজের অধীনে, নিজেই পছন্দ করে ঘরে বসে কাজ করছে। বাংলাদেশ এখন বৈশ্বিক চাহিদায় আউটসোর্সিংয়ে এক নম্বরে আছে। আমাদের রয়েছে বিপুল সম্ভাবনা।

সজীব ওয়াজেদ বলেন, বিপিও’র জন্য প্রয়োজন বিদ্যুৎ ও ব্রডব্যান্ড। আমরা দুটোই নিশ্চিত করেছি। ১০ বছর আগেও ইন্টারনেট খরচ ছিল ১ হাজার মার্কিন ডলার। আর এখন সেটা হাতের নাগালে। এজন্যই দেশের তরুণ সমাজ ঘরে বসে আয় করে। যেটা ১০ বছর আগে চিন্তাই করা যেত না। গ্রাম পর্যায়ে আউটসোর্সিয়ের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। আমরা ৭ লাখ তরুণের ডিজিটাল কর্মসংস্থান করেছি।

অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদ, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য) সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান শরীফ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

একুশে/এএ