চট্টগ্রাম: নববর্ষের প্রথমদিন চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় গিয়েছিলেন সাড়ে ১৩ হাজার দর্শনার্থী; এত মানুষের সমাগমে রীতিমত তিল ঠাঁই নেই অবস্থা হয় চিড়িয়াখানায়।
গরমের মধ্যেও পুরো চিড়িয়াখানাজুড়ে ছিল মানুষের আনন্দময় পদচারণা। রোদ মাথায় করেই ক্লান্তিহীন এ খাঁচা-ও খাঁচা ঘুরে ঘুরে দর্শনার্থী দেখেছেন নানা প্রাণী।
প্রথমবারের মতো চিড়িয়াখানা দেখতে আসেন ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র রাসেল আহমেদ। উচ্ছ্বসিত রাসেল বলে, বাঘ দেখলাম, জেব্রা দেখলাম, হরিণ দেখলাম। এতদিন এসব প্রাণী খালি টিভিতে দেখছি, আজ চোখের সামনে দেখলাম। দারুণ লাগছে।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ রুহুল আমীন একুশে পত্রিকাকে বলেন, চিড়িয়াখানা দিন দিন পরিবর্তন হচ্ছে। প্রতিদিনই উন্নয়ন কাজ চলছে। পরিচ্ছন্ন, পরিপাটি হওয়ায় দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। শনিবার একদিনেই প্রায় চার লাখ টাকা আয় হয়েছে চিড়িয়াখানার।
চিড়িয়াখানায় শিশুপার্ক তৈরীর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, চিড়িয়াখানায় আসা শিশুদের জন্য বাড়তি বিনোদনের ব্যবস্থা হচ্ছে। চলতি সপ্তাহে শিশুপার্কের ডিজাইন অনুমোদন হতে পারে।
১৯৮৯ সালে চট্টগ্রাম নগরীর ফয়’স লেক এলাকায় ৬ একর জায়গা নিয়ে নির্মিত হয় চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। ২০১৪ সালের আগে এই চিড়িয়াখানা দেখতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠত দর্শনার্থীদের। আগের অব্যবস্থাপনা এখন আর নেই। বদলে গেছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। চিড়িয়াখানা এখন মুখরিত বন্যপ্রাণীর কলকাকলিতে। দিন দিন বাড়ছে দর্শনার্থী। বেড়েছে পশুর সংখ্যাও।
এসআর/একুশে