চট্টগ্রাম : গান-নাচ-আবৃত্তি আর কথামালায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব বংলা নতুন বছরকে বরণ করেছে। শনিবার বাংলা নতুন বছরের শুরুর দিন পহেলা বৈশাখে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজন করা হয় দিনব্যাপী বৈশাখী উৎসবের। ক্লাবের স্থায়ী-অস্থায়ী সদস্য এবং তাদের পরিবারের লোকজনদের নিয়েই ছিল এ আয়োজন।
সকালে সাংস্কৃতিক সংগঠন আনন্দধ্বনি’র দলীয় পরিবেশনার মধ্য দিয়েই পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি কলিম সরওয়ার বলেন, চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের দ্বিতীয় আবাসস্থল চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ধীরে ধীরে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। সম্মিলিতভাবে কাজের মধ্য দিয়ে ক্লাব ভবিষ্যতে আরও অনেকদূর এগিয়ে যাবে। ক্লাবের সকল সদস্যই একই পরিবারের উল্লেখ করে নতুন বছরের শুরুর দিনে তিনি সকলের কল্যাণ কামনা করেন এবং নতুন বছর সকলের ভাল যাবে এ প্রত্যাশা করেন।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ বলেন, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব তার কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে এক অনন্য সাধারণ উচ্চতায় এসে পৌঁছেছে। দ্রুতই চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সদস্যদের জন্য আরও সুযোগ সুবিধা চালুর ঘোষণা দেন তিনি।
এসময় অন্যন্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএফইউজের সহ-সভাপতি শহীদুল আলম, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি নাজিমুদ্দিন শ্যামল, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী আবুল মনসুর, সহ-সভাপতি মনজুর কাদের মনজু, বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব তপন চক্রবর্তী, ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, অর্থ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার, ক্রীড়া সম্পাদক নজরুল ইসলাম, গ্রন্থাগার সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ, সমাজসেবা ও আপ্যায়ণ সম্পাদক রোকসারুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মিন্টু চৌধুরী, কার্যকরী সদস্য ম. শামসুল ইসলাম, হেলাল উদ্দিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
সাংস্কৃতিক সম্পাদক শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার এর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী ফাহমিদা রহমান, শাহরিন জহির তানি, সুপ্রিয়া, আলতুশি ও আবদুল হালিম। দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন স্বপন দাশ ও তার দলের সদস্যরা। বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করেন উচ্চারক আবৃত্তিকুঞ্জের শিল্পীরা। সবশেষে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের স্থায়ী সদস্য সাহিত্যিক বিশ্বজিৎ চৌধুরী ও তার সহধর্মিনী সুস্মিতা চৌধুরী সংগীত পরিবেশন করে দর্শক মাতান।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এ আনন্দ আয়োজনে সকাল থেকেই ছিল আপ্যায়নের ব্যবস্থা। মুড়ি, মুড়কি, খৈ, নাড়ু দিয়ে ক্লাবের সদস্যদের আপ্যায়ন করা হয়। দুপুরে মধ্যাহ্ন ভোজনের মধ্য দিয়ে এ আনন্দ আয়োজন শেষ হয়।
প্রেসবিজ্ঞপ্তি/এটি/একুশে