রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

বৈশাখী মেলায় শিশুদের পছন্দ ‘মটু-পাগলু’ বেলুন

প্রকাশিতঃ ১৪ এপ্রিল ২০১৮ | ৬:৫৯ অপরাহ্ন

আবু আজাদ, সিআরবি থেকে : ভারতীয় চ্যানেল ‘নিক’ এর নিয়মিত ধারাবাহিক কার্টুন ‘মটু-পাগলু’ বাংলায় ডাবিং করে দেখাচ্ছে বেসরকারি টিভি চ্যানেল ‘মাছরাঙ্গা’। বর্তমানে দেশের শিশুদের কাছে কার্টুন হিসেবে তা যেমন জনপ্রিয়, তেমনি শিশুদের খেলনা জগতেও এর জুড়ি মেলা ভার। এবারের বৈশাখী মেলায় তাই ‘মটু-পাগলু’ বেলুন শিশুদের প্রথম পছন্দ।

সিআরবিতে কথা হয় বেলুন বিক্রেতা নাজমুলের সঙ্গে। তিনি জানালেন, এবার তিনি উরোজাহাজ, গাভিসহ প্রায় আট ধরনের বেলুন আনলেও সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে ‘মটু-পাগলু’ বেলুন।

মামার সাথে মেলায় এসেছে রাফসান অয়ন। মেলায় প্রবেশ করেই অয়নের চোখ চলে যায় খেলনার স্টলে। বায়না ধরে বসে, মামা আমি ‘মটু-পাগলু’ কিনবো। যেটা আকাশে ওড়ে। ওই ‘মটু-পাগলু’ চাই। আমাকে ওটা কিনে দাও না।’ এ রকম বাচ্চার অনেক বায়না মিটাতে হচ্ছে বৈশাখী মেলায় আসা অভিভাবকদের। মেলা ঘুরে এমন অনেক দৃশ্য চোখে পড়ে।

এবারের মেলায় শিশু-কিশোরদের জন্য বিনোদনের জায়গা বিগত বছরগুলোর চেয়ে কম লক্ষ্য করা গেছে। যাও আছে তাও আবার দখল করে রেখেছে অন্যরা।

তবে বিভিন্ন পণ্যের হকার কারও মনে আনন্দ নেই। নিরাপত্তাজনিত কারণে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ডিসি হিল এলাকা থেকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছিলেন। কেউ কেউ লুকিয়ে-ছাপিয়ে এসব স্থানে অবস্থান নিলেও পুলিশের তাড়া খেয়ে দৌড়ের ওপর থাকাতে বেচাকেনা হচ্ছিল না।

চেড়াগী পাহাড় মোরে বেলী পুতুল আর খেলনা নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন পটিয়ার এক যুবক। আজ দিনভর ভালো বিক্রি করবেন বলে আশা করে এসেছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাঁড়িয়ে বেড়ানোর ফলে সকাল থেকে মাত্র ১০০০ টাকার খেলনা বিক্রি হয়েছে বলে জানালেন।

নন্দনকানন মোড়ে ভ্যানভর্তি ডাব নিয়ে বসেছিলেন ভ্যানচালক শাহ আলম। গতরাতে সদরঘাট থেকে ৮ হাজার টাকায় ২শ’ ডাব কিনে আনেন। খুব ভোরে ডিসি হিল প্রবেশ করতে গেলে পুলিশ তাড়িয়ে দেয়।

শাহ আলম জানান, ডাব কেনাতেও ঠকেছেন। যে ডাব ৩০ টাকায় আগে কিনেছেন গতকাল তা ৪০ টাকায় কিনতে হয়েছে। প্রতি পিস ৬০ টাকা দরে বিক্রি করবেন বলে ভেবেছিলেন। শাহবাগে যেতে না পারলে ডাব বিক্রি করতে পারবেন না বলে জানান।

কোতয়ালী থানার এসআই মহিউদ্দিন একুশে পত্রিকাকে বলেন, হকাররা ভালো জায়গা বসার জন্য নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করছিলো তাই কয়েকজনকে তাড়িয়ে দিয়েছি। বাকিদের তো আমরা কিছুই বলছি না।

একুশে/এএ