আবু আজাদ, ডিসি হিল থেকে : আধ ঘন্টা ধরে লাভলেইন মোড়ে দাঁড়িয়ে আছেন কলেজ ছাত্র ইমরান। হাতে রঙের পাত্র আর তুলি। কিন্তু নকশা আঁকার কাউকে পাচ্ছেন না তিনি। হতাশ ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে মেলায় আগতদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছিলেন ওই যুবক।
ইমরান জানালেন, এবার নকশা আঁকিয়ে বেশি কিন্তু মানুষের আগ্রহ কম। প্রথম তিন ঘন্টায় মাত্র চারজনকে নকশা একেছি।
শুধু ওই যুবকই নন, তাদের মতোই বিভিন্ন পণ্যের হকার কারও মনে আনন্দ নেই। নিরাপত্তাজনিত কারণে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ডিসি হিল এলাকা থেকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছিলেন। কেউ কেউ লুকিয়ে-ছাপিয়ে এসব স্থানে অবস্থান নিলেও পুলিশের তাড়া খেয়ে দৌড়ের ওপর থাকাতে বেচাকেনা হচ্ছিল না।
চেড়াগী পাহাড় মোরে বেলী পুতুল আর খেলনা নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন পটিয়ার এক যুবক। আজ দিনভর ভালো বিক্রি করবেন বলে আশা করে এসেছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাঁড়িয়ে বেড়ানোর ফলে সকাল থেকে মাত্র ১০০০ টাকার খেলনা বিক্রি হয়েছে বলে জানালেন।
নন্দনকানন মোড়ে ভ্যানভর্তি ডাব নিয়ে বসেছিলেন ভ্যানচালক শাহ আলম। গতরাতে সদরঘাট থেকে ৮ হাজার টাকায় ২শ’ ডাব কিনে আনেন। খুব ভোরে ডিসি হিল প্রবেশ করতে গেলে পুলিশ তাড়িয়ে দেয়।
শাহ আলম জানান, ডাব কেনাতেও ঠকেছেন। যে ডাব ৩০ টাকায় আগে কিনেছেন গতকাল তা ৪০ টাকায় কিনতে হয়েছে। প্রতি পিস ৬০ টাকা দরে বিক্রি করবেন বলে ভেবেছিলেন। শাহবাগে যেতে না পারলে ডাব বিক্রি করতে পারবেন না বলে জানান।
কোতয়ালী থানার এসআই মহিউদ্দিন একুশে পত্রিকাকে বলেন, হকাররা ভালো জায়গা বসার জন্য নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করছিলো তাই কয়েকজনকে তাড়িয়ে দিয়েছি। বাকিদের তো আমরা কিছুই বলছি না।
একুশে/এএ