সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

তুরস্কে অভ্যুত্থানচেষ্টা: ৮৫ জেনারেল, অ্যাডমিরাল কারাগারে

প্রকাশিতঃ ১৯ জুলাই ২০১৬ | ১০:১২ অপরাহ্ন

Turkey+1ঢাকা: তুরস্কে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানচেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৮৫ জন জেনারেল ও অ্যাডমিরালকে কারাগারে পাঠিয়েছে দেশটির আদালত। আরও ডজন খানেক সামরিক কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম মঙ্গলবার এই তথ্য প্রকাশ করেছে।

সংবাদ মাধ্যম জানায়, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে দেশটির সাবেক বিমানবাহিনীর প্রধান জেনারেল একিন ওজতুর্কও রয়েছেন। একিনকে সামরিক অভ্যুত্থানের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে অভিযুক্ত করে তুরস্ক বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ ছেপেছে। তবে একিন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

সিরিয়া, ইরান এবং ইরাকের সম্ভাব্য হুমকি প্রতিহত করতে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তুরস্কের সেকেন্ড আর্মির কমান্ডার জেনারেল অ্যাডেম হুড্ডাইকে।

তুরস্ক কর্তৃপক্ষ হাজার হাজার ব্যক্তিকে এই অভ্যুত্থানে জড়িত সন্দেহে অভিযুক্ত করেছে। তারমধ্যে ২০৮ জন সরকার সমর্থক এবং ২৪ জন অভ্যুত্থান পরিকল্পনাকারী।

তুরস্ক সরকারের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের এক ধর্মীয় নেতা এই অভ্যুত্থানের কলকাঠি নেড়েছেন। অন্ততঃ হাজার খানেক কর্মকর্তার সঙ্গে ওই ধর্মীয় নেতার যোগাযোগ ছিল বলে দেশটির বিচার বিভাগ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সন্দেহ করছে।

তুরস্কে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানচেষ্টার পর ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করে দেশটির সরকার। অভ্যুত্থানচেষ্টায় জড়িত সন্দেহে শতাধিক জেনারেল ও অ্যাডমিরালকে আটক করেছে কর্তৃপক্ষ। দেশজুড়ে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে সাত হাজার জনকে আটক করেছে তুরস্ক। অভ্যুত্থানে জড়িত সন্দেহে ৮ হাজার পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ৩০ জন আঞ্চলিক গভর্নর এবং ৫০ জনের বেশি উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাও বরখাস্ত হয়েছে।

যারা অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেছে তাদেরকে ‘ভাইরাস’ আখ্যা দিয়ে মুছে ফেলার ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট রিজেপ তায়িপ এরদোয়ান। অভ্যুত্থানচেষ্টায় জড়িত ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান থেকে সমূলে উৎপাটন করতে অঙ্গীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। অভ্যুত্থানচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়ার পরপরই দেশে মৃত্যুদণ্ডের বিধান ফিরিয়ে আনতে ইতিমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।

প্রসঙ্গত, এরদোয়ান সরকারকে উৎখাত করতে গত শুক্রবার রাতে ট্যাংক-সাঁজোয়া যান ও জঙ্গি বিমান নিয়ে ব্যারাক থেকে বেরিয়ে পড়ে দেশটির সেনাবাহিনীর একাংশ। তবে সকাল নাগাদ পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণে আসে। এই সময়ে সংঘর্ষে ১০৪ সেনাসদস্যসহ ২৬৫ জন নিহত হন।