নিজস্ব প্রতিবেদক : একটা সময় পহেলা বৈশাখ মানেই ছিল সকালে উঠে পান্তা ভাতের সঙ্গে ইলিশ ভাজা খাওয়া। ফলে এপ্রিল শুরু হওয়ার আগেই অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যেত ইলিশের দাম। তবে গত বছর থেকে এ রীতির কিছুটা পরিবর্তন ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে পহেলা বৈশাখে ইলিশ না খাওয়ার ঘোষণা আসে।
গতকাল বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে একটি অনলাইন লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও ১৫ উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণাকালে প্রধানমন্ত্রীকে রংপুরের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর একজন উপকারভোগী নারী বৈশাখে পান্তা-আলু-ভর্তা-ইলিশ খাওয়ার দাওয়াত দিলে এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, বৈশাখে পান্তা ভাত খেলেও ইলিশ খাবেন না। পহেলা বৈশাখে পান্তা ভাত খাবো। তবে ইলিশ দিয়ে নয়, শুঁটকি ভর্তা দিয়ে খাবো।,
গত বছরের ১১ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলনে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে পহেলা বৈশাখে ইলিশ না খাওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা ইলিশ খাবেন না, ইলিশ ধরবেন না। এ সময় প্রধানমন্ত্রী পহেলা বৈশাখের খাদ্য তালিকা হিসেবে- খিঁচুড়ি, সবজি, মরিচ ভাজা, ডিম ভাজা ও বেগুন ভাজার কথা উল্লেখ করেন।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, গত বছর প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানের কারণে বৈশাখকেন্দ্রীক ইলিশের চাহিদা কিছুটা হলেও কমে যায়। সেই সঙ্গে ইলিশের ঊর্ধ্বমুখী দামেও ছেদ পড়ে। গত বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও বৈশাখকেন্দ্রীক ইলিশের চাহিদা কম। ফলে দামও তুলনামুলক কম।
ব্যবসায়ীরা এক কেজি থেকে এক কেজি ২০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ বিক্রি করছেন ১৪০০-১৫০০ টাকা পিস। ৬০০-৭০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ বিক্রি করছেন ৪০০-৫০০ টাকা পিস। আর ২৫০-৩৫০ গ্রাম সাইজের ইলিশ বিক্রি করছেন ৮০০ টাকা হালি।
মাছ ব্যবসায়ী জামাল বলেন, গত বছর প্রধানমন্ত্রী পহেলা বৈশাখে ইলিশ না খাওয়ার আহ্বান জানান। এ কারণেই হয়তো এখন ইলিশ বিক্রি কমে গেছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও কোনো ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। আগে কখনও এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়নি।
একুশে/এএ