নিজস্ব প্রতিবেদক : নতুন বছরকে বরণ করতে পাহাড়ে বইছে বৈসাবি উৎসবের আনন্দধারা। ইতোমধ্যেই বৈসাবি উৎসব ঘিরে পাহাড়ে তৈরি হয়েছে উৎসবের আমেজ। চলছে প্রস্তুতি। পাহাড়িদের প্রাণের উৎসব বৈসাবি (বৈসুক সাংগ্রাই বিজু) আনন্দে মেতেছে রাঙ্গামাটির পাহাড়ি জাতিগোষ্ঠী।
আগামী ১২-১৪ এপ্রিল ঘরে ঘরে উদযাপিত হতে যাচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জাতিগোষ্ঠীগুলোর প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবি। উৎসবকে সামনে রেখে রাঙ্গামাটিতে শুরু হয়েছে চার দিনব্যাপী বর্ণিল অনুষ্ঠানমালা।
রাঙ্গামাটিতে আয়োজিত চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় আজ মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) বিকালে রাঙ্গামাটি মারি স্টেডিয়ামে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছে।
এছাড়া, আজ বিকালে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী জুম্ম খেলাধুলা এবং বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টায় রাজবন বিহারের পূর্বঘাটে আনুষ্ঠানিক ফুল ভাসানো। আর এর মধ্য দিয়ে শেষ হবে চারদিনের অনুষ্ঠানসূচি। এদিন থেকে ঘরে ঘরে শুরু হবে তিনদিনের মূল উৎসব। এরপর ১৫ এপ্রিল রাঙ্গামাটিসহ বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত হবে মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাইং জলোৎসব। বৈসাবির সঙ্গে একাট্টা হচ্ছে আবহমান বাংলার চিরাচারিত বর্ষবরণ ও বৈশাখি উৎসব।।
গত সোমবার সকালে রাঙ্গামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গণে বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন রাঙ্গামাটি আসনের সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার। বিজু সাংগ্রাইং বৈসুক বিষু বিহু চাংক্রান-২০১৮ উদযাপন কমিটি সার্বজনিনভাবে এ সব অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এদিকে বৈসাবি উপলক্ষে রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ ও ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর ইন্সটিটিটের উদ্যোগে ইন্সটিটিউট প্রাঙ্গণে বসানো হয়েছে মেলা। মেলায় বসানো হয়েছে পাহাড়িদের নিজস্ব সংস্কৃতির পোশাক, অলংকার, খাবারসহ বিভিন্ন সামগ্রির প্রদর্শনী ও বিক্রয় স্টল। মেলায় প্রতিদিন সন্ধ্যায় পরিবেশিত হবে মঞ্চ নাটক ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মেলা শেষ হবে শনিবার।
একুশে/এএ